১৫০ বছরের ইতিহাসে বাউন্ডারি থেকেই এক ম্যাচে এক হাজারের বেশি রান
নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেয়া ২৯৯ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে হবে মাত্র ৭৫ ওভারের মধ্যে। শেষ দিনের খেলা, চতুর্থ ইনিংসও বটে। উইকেটের অবস্থা খুবই বাজে। এমন পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা যেন ঝড় বইয়ে দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ওপর। মাত্র ৫০ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
অবিশ্বাস্য এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান জনি বেয়ারেস্টোর ৯২ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস। ৭৭ বলে তিনি সেঞ্চুরি পূরণ করেন। ৭০ বলে ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন অধিনায়ক বেন স্টোকস।
তবে সব কিছু চাপিয়ে এই ম্যাচে অসংখ্য বাউন্ডারি মারার ঘটনাই উঠে এসেছে আলোচনায়। টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় দেড় ’শ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ম্যাচে চার ইনিংসের মোট স্কোরের এক হাজারের বেশি রান এসেছে শুধু বাইন্ডারি থেকেই।
ট্রেন্ট ব্রিজে দুই দলের চার ইনিংস মিলে মোট রান হয়েছে ১৬৭৫। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড করেছে ৫৫৩ রান। জবাবে ইংল্যান্ড করেছিল ৫৩৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড করেছে ২৮৪ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের লক্ষ্যে ২৯৯ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। ৫ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলে ইংলিশরা।
চার ইনিংসে ১৬৭৫ রানের মধ্যে ১০৪৪ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে। নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা মিলে মোট ২৪৯টি বাউন্ডারির মার মেরেছেন। এর মধ্যে ২২৫টি বাউন্ডারি এবং ২৪টি ওভার বাউন্ডারি (ছক্কা)। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনো ম্যাচে এটাই সর্বোচ্চ বাউন্ডারি মারার ঘটনা।
এর আগে ২০০৪ সালে সিডনি টেস্টে অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতীয় ব্যাটাররা বাউন্ডারি থেকে তুলেছিলেন ৯৭৬ রান। যা টেস্টে বাউন্ডারি থেকে আসা সর্বোচ্চ রানের ঘটনা ছিল এতদিন। সেবার তারা মোট ২৪২টি বাউন্ডারির মার মেরেছিল ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া।
২০০৬ সালে পাকিস্তান এবং ভারতের ব্যাটাররা ফয়সালাবাদে বাউন্ডারি থেকে রান তুলেছিল ৯৬২টি। যা এখন রেকর্ডে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
তবে ছক্কাছাড়া শুধুমাত্র বাউন্ডারির ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের ২২৫ – এই সংখ্যাটি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ২০০৪ সালে সিডনি টেস্টে অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতীয় ব্যাটাররা বাউন্ডারি মেরেছিল ২৩৮টি। ২০০৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা কেপটাউনে মেরেছিল ২১৩টি বাউন্ডারির মার।