১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে অ্যামাজন

স্টাফ রিপোর্টার

গত কয়েক প্রান্তিক লাভজনক না হওয়ায় ১০ হাজার ছাঁটাই ও খরচ কমানোর পরিকল্পনা করেছে অ্যামাজন। চলতি সপ্তাহ থেকেই ছাঁটাই শুরু করতে পারে বিশ্বের বৃহত্তম খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি।

সাম্প্রতিক সময়ে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। পাশাপাশি বড় ধরনের ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। এ তালিকায় সর্বশেষ বড় নাম অ্যামাজন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সংখ্যাটি যদি মোট ১০ হাজার হয়ে থাকে, তবে এটি হতে যাচ্ছে অ্যামাজনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ছাঁটাই। যা মোট কর্মী সংখ্যার এক শতাংশ। বর্তমানে সারাবিশ্বে তাদের ১৬ লাখ কর্মী রয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসকে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, অ্যামাজনে ছাঁটাইয়ের শিকার হতে পারে খুচরা বিক্রয় বিভাগ ও মানবসম্পদসহ আলেক্সা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো ডিভাইস নির্ভর বিভাগগুলো।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক মাসের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কিছু অলাভজনক বিভাগের কর্মীদের সম্ভাব্য ছাঁটাই সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছে অ্যামাজন। এমনকি সংস্থার মধ্যেই অন্য বিভাগে সুযোগ খোঁজার করার পরামর্শ পেয়েছেন অনেকে।

সাধারণত ছুটির মৌসুমে সবচেয়ে বিক্রি হয় অ্যামাজনে। কিন্তু এবার মৌসুম শুরুর আগেই ই-কমার্স জায়ান্টটি মন্দার আশঙ্কা করছে। অ্যামাজন বলছে, ক্রমবর্ধমান দামবৃদ্ধির কারণে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর হাতে ব্যয় করার মতো অর্থ কমে গিয়েছে।

কভিড-১৯ মহামারির সময় অ্যামাজনের মতো অনলাইন সংস্থাগুলোর দিকে ঝুঁকেছিল সাধারণ মানুষ। ফলে তাদের ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠে। কিন্তু মানুষ ধীরে ধীরে  মহামারি-পূর্ববর্তী অভ্যাসে ফিরে গিয়েছে। এ ছাড়া বৈশ্বিক মন্দা কেনাকাটায় বিপুল প্রবল ফেলেছে। এ কারণে অনলাইনে বিক্রির হার তুলনামূলক কমেছে।

বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইনে খুচরা বিক্রেতা এই প্রতিষ্ঠানকে বছরের বেশিরভাগ সময় তীব্র মন্দার সঙ্গে লগতে হয়েছে। নতুন গুদাম চালু করতে দেরি ও খুচরা বিভাগে নিয়োগ বন্ধ রাখতে হয়েছে।

তবে অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি বিক্রি বৃদ্ধির ধীরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার ইলোন মাস্কের হাতে যাওয়ার পর থেকে প্রযুক্তি খাতে নতুন করে ছাঁটাইয়ের হাওয়া লাগে। মাস্ক নিয়ন্ত্রণ নেয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই চাকরি হারান ৫০ শতাংশ কর্মী। এরপর বড় সংখ্যায় কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে রয়েছে ফেসবুকের প্যারেন্ট সংস্থা মেটা। সেই পথেই এল অ্যামাজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *