১০ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট

ভারতের এই বোলিং লাইনআপ নিঃসন্দেহে বিশ্বমানের। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং শক্তিকেও একেবারে খাটো করার উপায় নেই। এই টেস্টে তো বলতে গেলে নয় ব্যাটসম্যান নিয়েই মাঠে নেমেছে টাইগাররা। প্রথম ইনিংস শেষে কে বলবে!

ভারতীয় বোলাররা বলতে গেলে মুড়িমুড়কির মতো তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের উইকেটগুলো। তেমন কষ্ট করতে হয়নি। যতটা না কঠিন বোলিং করেছেন তারা, তার চেয়েও বেশি কঠিন মনে হলো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের অ্যাপ্রোচ অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন।

টেস্ট কিভাবে খেলতে হয়, সেটিই যেন ভুলে গিয়েছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। ভুলভাল শট, বোকার মতো স্ট্যাম্প ছেড়ে দেয়া কিংবা খারাপ বলকে উইকেটে টেনে নেয়ার মতো কাজ প্রথম ইনিংসে চোখ বন্ধ করেই করেছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। যার ফলশ্রুতিতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েও ১৫০ রানেই প্যাকেট মুমিনুল হকের দল।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ১২ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস আর সাদমান ইসলাম সমান ৬ করে রান নিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। তারপরও মুমিনুল (৩৭), মুশফিকদের (৪৩) ব্যাটে কিছুটা আশা জেগেছিল।

মনে হচ্ছিল, মোটামুটি মাঝারি মানের একটি পুঁজি দাঁড় করানো যাবে। একটা সময় যে ৫ উইকেটে ১৪০ রান ছিল টাইগারদের। সেখান থেকে মাত্র ১০ রান তুলতেই বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারিরা। অথচ নিচের দিকেও বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান ছিলেন, যারা ব্যাটিংটা খারাপ করেন না।

১১৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিক আর লিটন দাস মিলে গড়েন ২৫ রানের একটি জুটি। ওই জুটিটা ভাঙতেই সব শেষ। মোহাম্মদ শামির বলে ব্যাট ছুঁইয়ে বোকার মতো বোল্ড হন মুশফিক। ঠিক পরের বলেই এলবিডব্লিউ মেহেদী হাসান মিরাজ।

পরের ওভারের প্রথম বলে ইশান্ত শর্মার শিকার লিটন দাস (২১)। অর্থাৎ টানা তিন বলে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এক ওভার পর রানআউট হয়ে যান তাইজুল ইসলাম (১)। খুব বেশি দেরি করেননি এবাদত হোসেনও। দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২ রান করে বোল্ড হন উমেশ যাদবের বলে।

টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের আত্মাহুতির মিছিলে এবাদতকে দোষ দেয়া যাবে না। তবে লিটন, মিরাজ, তাইজুলরা যে একটু প্রতিরোধও গড়তে পারবেন না; কে জানতো!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *