১০ কিমি যানজট ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে, ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি
ঈদ ঘিরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন ও ঘরমুখো যাত্রীর চাপ বেড়েছে। ফলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ অংশে কাঁচপুর-আখাউরা ১০ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল ২০২৩) দুপুর থেকে সড়কের উভয়পাশে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমে ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রী ও চালকদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদ যত এগুচ্ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘরমুখো মানুষের চাপও বাড়ছে। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে। ফলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে বরপা পর্যন্ত তিনটি পয়েন্টে প্রতিনিয়তই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
বরপা বাসস্ট্যান্ডে লোকাল চারটি গাড়ির স্ট্যান্ড আছে। এসব স্ট্যান্ডের গাড়ির অবাধ বিচরণে হরহামেশায় তৈরি হচ্ছে যানজট। অন্যদিকে মহাসড়কের রূপসী ও বরাবতে উভয় দিকের লিংক রোডের মুখে লেগুনা, ইজিবাইক ও রিকশার অভয়ারণ্য হওয়ায় যানজট হচ্ছে।
রোকন মিয়া নামের এক যাত্রী বলেন, ‘শিমরাইল মোড় যাওয়ার উদ্দেশ্যে আধাঘণ্টা আগে বরপা থেকে বাসে উঠেছি। কিন্তু যানজটে এখোনো তারাব বিশ্বরোড পার হতে পারিনি। আগে এ পথ পার হতে ছয়-সাত মিনিট লাগতো। কখন গন্তব্যে পৌঁছাবো বলতে পারছি না।’
ঢাকা-সিলেট সড়কে চলাচলকারী যাতায়াত পরিবহনের যাত্রী অসিফুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যেতে তিন ঘণ্টা সময় লাগার কথা। তবে বরপা আসতেই লেগেছে দুঘণ্টা। কখন গন্তব্যে যেতে পারবো কে জানে।’
গ্লোরি পরিবহনের চালক জোবায়ের আকন্দ বলেন, ‘মহাসড়কের বরপা, রূপসী, বরাব এলাকায় থেমে থেমে যানজট নিত্যনৈমিত্ত ব্যাপার। ঈদে যানবাহনের চাপ বাড়ায় এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। পথে ভোগান্তি বেড়েছে। এভাবে যানজট লেগে থাকলে ঈদে বাড়তি আয় তো দূরের কথা সংসারের খরচ জোগানোই কঠিন হবে।’
এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) ফারুক বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়ায় যানবাহনেরও চাপ বেড়েছে। তবে আমাদের সদস্যরা যানজট নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ঈদ উপলক্ষে ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের জন্য ২৬ জন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। এক যোগে আমাদের পিকেট ডিউটি টিম ও মোটরসাইকেল মোবাইল টিম কাজ করছে। যানজট তৈরি হওয়া স্পটগুলোর যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তৎপর আছে।