হোন্ডার নতুন মডেলের মোটরসাইকেল এখুন দেশের বাজারে
বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (বিএইচএল) বাজারে নিয়ে এলো দুটো নতুন মডেলের মোটরসাইকেল হোন্ডা লিভো ও ড্রিম নিও। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত এই মডেল দুটোর আধুনিক সংস্করণে আছে ১১০সিসি হোন্ডা ইকো টেকনোলজি (এইচইটি) ইঞ্জিন যা গত নভেম্বর মাসে মুন্সিগঞ্জে উদ্বোধন হওয়া হোন্ডার নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে তৈরি প্রথম ২টি মডেল।
ডায়নামিক ট্যাঙ্ক শ্রাউডস, বডি কালার মিরর, কার্ভড ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং ব্ল্যাক অ্যালয় হুইল হোন্ডা লিভোকে দিয়েছে আরও স্পোর্টি বৈশিষ্ট্য। হোন্ডা লিভোর শক্তিশালী রিয়ার সাস্পেনশনে আছে টু-পিস ক্রোম প্লেটেড মাফলার, টেইল লাইট আর শক্তিশালী গ্র্যাব রেল। এর সাথে আরও রয়েছে ডুয়াল টন ভিজর, তাই হোন্ডা লিভোতে আছে এনার্জেটি লুক।
এইচইটি বিএস-ফোর সমৃদ্ধ হোন্ডা লিভো এবং ড্রিম নিওর ১১০সিসি ৪-স্ট্রোক এয়ার-কুল্ড ইঞ্জিন ৮.৩৬ পিএস এবং ৮.৬৩ পিএস এনএম টর্ক উৎপন্ন করে ও উন্নত জ্বালানি সাশ্রয়ী দক্ষতা এবং কমপ্রেশন রেশিও বৃদ্ধি করে। এতে করে কম জ্বালানিতে অনেক বেশি মাইলেজ পাওয়া যায়। ফলে এই দুটি মডেলের মোটরবাইক অনায়াসে প্রতি লিটার জ্বালানিতে ৭৪ কিমি চলবে, যা বাজারের অন্যান্য মডেলের তুলনায় কমপক্ষে ৯ শতাংশ বেশি।
আবার ১৮০ মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সের দরুণ কখনোই অসমতল রাস্তায় হোন্ডা লিভোর চলতে সমস্যা হয় না। তাছাড়া হোন্ডা লিভোর ডিস্ক ব্রেক আর টিউবলেস টায়ার যেমন পাঙ্কচারের ঝুঁকি কমায় তেমনি বৃদ্ধি করে ব্রেকিং পারফরম্যান্স। এর সিল চেইন সহজ রক্ষণাবেক্ষণ আর অধিক টেকসই হওয়ায় চলে বহুদিন।
বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে স্টাইলিশ আর উন্নতমানের ১১০ সিসি মোটরসাইকেলের একটি হোন্ডা লিভো। এতে আছে সার্ভিস ডিউ ইনডিকেটর সমৃদ্ধ ডিজিটাল-অ্যানালগ মিটার। এর স্পোর্টি গ্রাফিক্স ডিজাইন ও সুদৃঢ় ফুয়েল ট্যাংক লিভো-কে করে তোলে আরও আকর্ষণীয়।
গ্রাফিক্স ও ক্রোম প্লেটেড গ্র্যাব রোলে ড্রিম নিওকে করেছে আরও আকর্ষণীয়। আর অ্যাক্সেলেরেশনের দিক থেকে ড্রিম নিও অন্য সব প্রতিদ্বন্দ্বী মডেলের চেয়ে অনেকএগিয়ে।
লম্বা সিট আরোহীসহ ভ্রমণকে করে আরও আরামদায়ক। এর চওড়া হ্যান্ডল টার্নিং রেডিয়াস ছোট রাস্তাতেও সহজে চালানো যায়। এর থ্রিডি এমব্লেম ড্রিম নিওকে দিয়েছে অভিজাত লুক। ব্ল্যাক অ্যালয় হুইলের সঙ্গে চমৎকার বডি গ্রাফিক্স যোগ করেছে নান্দনিকতা।
অন্যদিকে ড্রিম নিওর আপ-রাইট বসার ভঙ্গি কেবল আরামদায়কই নয় বরং এতে চালকের পা কোনোভাবেই ক্লান্ত হয় না। তাছাড়া ৭২০ মিমি লম্বা সিট নিশ্চিত করছে প্রয়োজনীয় ব্যবধান।
এর ৮৯ মিমি রিয়ার সাসপেনশন স্ট্রোক উভয়কেই দেয় ভ্রমণ সাচ্ছন্দ্য। পাশাপাশি ১২০ মিমি ফ্রন্ট সাসপেনশন স্ট্রোক এবং ১২৫৮ মিমি হুইল বেজ দেয় ১৭৯ মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স যা অসমতল রাস্তায় চালককে স্থিরভাবে চালিয়ে যেতে সহায়তা করে এবং অধিক গতিতেও বজায় থাকে ভারসাম্য। ড্রিম নিও’র টিউবলেস টায়ার পাঙ্কচার হলেও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমায়।
হোন্ডা লিভোর রয়েছে একাধিক কার্যকর বৈশিষ্ট্য : ৫-ধাপের অ্যাডজাস্টেবল রিয়ার সাসপেনসন, ১৮০ মিমি ইনক্রিজড গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এবং হ্যান্ডেলের আপ-রাইট অবস্থান; এ কারণে চালক এবং আরোহী উভয়ের জন্য যে কোনো অবস্থাতেই ভ্রমণ হবে আনন্দদায়ক এবং উপভোগ্য। আরোহীর পাদানির অবস্থান আরো বেশি আরামদায়ক হওয়ায় পা সামনের দিকে অযথা প্রসারিত করার প্রয়োজন হবে না।
হোন্ডা ইন্টেলিজেন্ট ইগনিশন কন্ট্রোল সিস্টেম বাজারের অন্যান্য ব্র্যান্ড থেকে এগিয়ে আছে আর এই প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ইঞ্জিন রাস্তার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পাওয়ার আউটপুট দিতে সক্ষম। পাওয়ার, পারফরম্যান্স আর মাইলেজের অনন্য সমন্বয়ের নিশ্চয়তা দিচ্ছে উন্নত এই প্রযুক্তি।
হোন্ডা লিভো ও ড্রিম নিও’র রঙ ও মূল্য
হোন্ডা লিভো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তিনটি আকর্ষণীয় রঙে- অ্যাথলেটিক ব্লু মেটালিক, ইম্পেরিয়াল রেড মেটালিক আর ব্ল্যাক। অন্যদিকে ড্রিম নিও’রও রয়েছে তিনটি দৃষ্টিনন্দন রঙ ইম্পেরিয়াল রেড মেটালিক, ব্ল্যাক উইথ ব্লু স্ট্রাইপস আর ব্ল্যাক উইথ রেড স্ট্রাইপস। বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড লিভো ও ড্রিম নিও ২টি মোটরসাইকেলের সাথেই দিচ্ছে ২ বছর অথবা ২০,০০০ কিমি পর্যন্ত (আগে সম্পন্ন হওয়ার উপর নির্ভরশীল) বিশেষ ওয়ারেন্টি।