পেঁয়াজের দাম কমল কেজিতে ৬ টাকা

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়। ভারতের বাজারে তুলনামূলক কম দাম ও পর্যাপ্ত আমদানির কারণে হিলির পাইকারি বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে স্থানীয় বাজারে পণ্যটির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমেছে। একইভাবে স্থানীয় খুচরা বাজারে কমেছে ৬ টাকা। আমদানি স্বাভাবিক থাকলে আগামী দিনগুলোতেও পণ্যটির দাম কমতির দিকে থাকতে পারে বলে আশা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা।

গতকাল হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে ভারতের ইন্দোর ও নাসিক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বেশি বিক্রি হতে দেখা যায়। এ সময় পাইকারি পর্যায়ে (ট্রাকসেল) আমদানি করা এসব পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৫-১৬ টাকায় বিক্রি হয়। এক সপ্তাহ আগেও কেজিপ্রতি ১৮-১৯ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে, সপ্তাহ শেষে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩ টাকা কমেছে। অন্যদিকে হিলির পাইকারি বাজারে দেশে উৎপাদিত প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে পাইকারি পর্যায়ে দরপতনের প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের খুচরা বাজারেও। গতকাল হিলির খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ১৫-১৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এক সপ্তাহ আগেও ২০-২৪ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে হিলির খুচরা বাজারে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ ৬ টাকা কমেছে।

পেঁয়াজের সাম্প্রতিক দরপতনের বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক হারুন-উর রশীদ জানান, ভারতের বাজারে নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ উঠেছে। নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজের সরবরাহও বেশি রয়েছে। এ কারণে ভারতেই পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক কম। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশীয় আমদানিকারকরা পণ্যটির আমদানি বাড়িয়েছেন। বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়েই প্রতিদিন ৫০-৫৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ভারতের বাজারে তুলনামূলক কম দাম ও বাড়তি আমদানির জের ধরে হিলির পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। এ কারণে স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। আমদানি স্বাভাবিক থাকলে আগামী দিনগুলোয় পেঁয়াজের দাম আরো কমতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *