হারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন রিয়াদ

সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মোহাম্মদ আমির আর ওয়াহাব রিয়াজ- তারকা এই চার ক্রিকেটারের কেউ নেই এ সিরিজে। সাকিব আল হাসান এক বছরের জন্য আইসিসির নিষেধাজ্ঞায়। আর পরিবারের আপত্তির মুখে পাকিস্তান যাননি মুশফিকুর রহীম।

অন্যদিকে পাকিস্তানের দুই দ্রুতগতির বোলার মোহাম্মদ আমির এবং ওয়াহাব রিয়াজকে দলেই রাখা হয়নি। এ মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে পরিণত, অভিজ্ঞ ও দক্ষ দুই ফাস্টবোলারকে বাইরে রেখেই তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দল সাজিয়েছে পাকিস্তান। তারপরও সিরিজের আগে তাদের নিয়ে কথা উঠছে। নানা ভাবে, নানা ইস্যুতে।

আজ (বৃহস্পতিবার) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ অধিনায়কের প্রেস কনফারেন্সেও ঐ চারজনের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলো। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাছে এক পাকিস্তানি সাংবাদিক জানতে চাইলেন, ‘সাকিব আর মুশফিকের অভাবটা কিভাবে পূরন করবেন আপনারা? আর স্পিডস্টার আমির-ওয়াহাবের না খেলাটা কি আপনার দলের জন্য স্বস্তির?’

মাহমুদউল্লাহ উত্তরে বললেন, ‘হ্যাঁ, এটা সত্য-সাকিব আর মুশফিক বড় খেলোয়াড়। অনেক ভালো ও অতি কার্যকর পারফরমার। তবে কঠিন সত্য হলো, তারা কেউ নেই এ সিরিজে। আর আমাদের যারা আছে, তারাও ভালো খেলেই দলে এসেছে। আমাদের দলটি বেশ তারুণ্য নির্ভর।’

বিপিএলের উপমা টেনে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেন, ‘আপনারা শেষ বিপিএলটা দেখলে বুঝতে পারবেন, আমাদের দলটা তারুণ্যের শক্তিতে ভরপুর। বেশ কয়েকজন দুর্দান্ত খেলোয়াড় আছে আমাদের দলে। তারুণ্যের ওপর ভরসা আছে আমাদের। আর অভিজ্ঞতার কথা বললে আমাদের লাইন আপেও অভিজ্ঞ-পরিণত পারফরমার আছেন। সৌম্য (সরকার), আমি, তামিম (ইকবাল), মোস্তাফিজুর (রহমান), রুবেল (হোসেন), আলআমিন (হোসেন), শফিউল (ইসলাম)- এরা সবাই আছে। আমি মনে করি আমাদের দলে তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার এক দারুণ মিশেল রয়েছে।’

পাকিস্তান দলে আমির-ওয়াহাবের না থাকা সুবিধা কি না, এই বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে রিয়াদের মন্তব্য, ‘আমি আসলে সেভাবে ভাবি না। আমির এবং ওয়াহাব বেশ অভিজ্ঞ বোলার। তাদের না থাকা আসলে অন্যদের জন্য ভালো সুযোগ নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের।’

রিয়াদের শেষ কথা, ‘আমি আসলে এসব নিয়ে ভাবছি না। নিজেদের খেলার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি , কীভাবে ভালো খেলা যায়- সেই চিন্তাই করছি আমরা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *