স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নেমে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দীন আহমেদ ও আব্দুল জলিলের কাছে গিয়ে তাদের পুরস্কার তুলে দেন।

এবার ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্ষেত্রে ছয়জন স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রম (মরণোত্তর), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদদীন আহমেদ, মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস (মরণোত্তর) এবং সিরাজুল হক (মরণোত্তর)।

‘চিকিৎসাবিদ্যা’ ক্যাটাগরিতে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এবং অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম এবং ‘স্থাপত্যে’ মরহুম স্থপতি সৈয়দ মঈনুল ইসলাম স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।

এছাড়া ‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণে’ পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ দেওয়া হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে আঠারো ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, সম্মাননাপত্র ও পাঁচ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

এসময় অন্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ বিজয়ীদের সংক্ষিপ্ত জীবনী পড়ে শোনান।

গত ১৫ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ‘সাহিত্য’ ক্ষেত্রে মরহুম আমির হামজাকে রাষ্ট্রীয় এ সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।

তালিকা ঘোষণার পরই আমির হামজাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। সমালোচনার মুখে গত ১৮ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকার ‘সাহিত্য’ ক্যাটাগরি থেকে মরহুম আমির হামজার নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সংশোধিত তালিকায় ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল। পরে ওই তালিকায় যুক্ত হয় ‘বিদ্যুৎ বিভাগ’।

১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে সরকার। এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *