স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স পেল যারা

বৈধ পথে দেশে স্বর্ণ আমদানি করতে একটি ব্যাংকসহ ১৮ প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠানকে দুই বছরের জন্য এ লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানি কার্যক্রম সন্তোষজনক হলে পরবর্তীতে লাইসেন্স নবায়ন করা হবে।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চতুর্থ প্রজন্মের মধুমতি ব্যাংক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, জুয়েলারি হাউস, রত্ন গোল্ড কর্নার, অ্যারোসা গোল্ড কর্পোরেশন, আমিন জুয়েলার্স, শ্রীজা গোল্ড প্লেস লিমিটেড, জড়োয়া হাউস প্রাইভেট লিমিটেড, মিলন বাজার, এসকিউ ট্রেডিং এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, এম কে ইন্টারন্যাশনাল, আমিন জুয়েলার্স লিমিটেড, বুরাক কমোডিটিস এক্সচেঞ্জ কোং, গোল্ডেন ওয়াল্ড জুয়েলার্স, রিয়া জুয়েলার্স, লক্ষ্মী জুয়েলার্স, বিডিইএক্স গোল্ড এন্ড ডায়মন্ড লিমিটেড এবং ডি ড্যামাস দ্য আর্ট অব জুয়েলারি।

এর আগে অবৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি ঠেকাতে নীতিমালা করেছে সরকার। সেই নীতিমালা বাস্তবায়নে চলতি বছরের ১৯ মার্চ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বর্ণের ডিলার নিয়োগের আবেদন করার সুযোগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সময়ে ৪৭টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। যার মধ্যে ১৮ প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া হলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ লাখ ২৮ হাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী আছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যভুক্ত ব্যবসায়ী ৩২ হাজার। দেশে বছরে গড়ে ২০-৪০ টন স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে। এতদিন কোনো নীতিমালা না থাকায় যার ৯০ শতাংশই অবৈধ পথে এসব স্বর্ণ আসতো।

এদিকে বৈধ পথে দেশে স্বর্ণ না আসায় এক দিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারায়, অপরদিকে পাচার হয়ে যায় দেশের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার স্বর্ণ আমদানি উন্মুক্ত করার জন্য স্বর্ণ নীতিমালার ওপর একটি গেজেট প্রকাশ করে।

গত বছর ২৯ অক্টোবর এ নীতিমালা জারি করার পর কিভাবে স্বর্ণ আমদানি করা হবে, কারা আমদানি করবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে, স্বর্ণ আমদানির নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি ভরি স্বর্ণ আমদানিতে সরকারকে ২ হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে। তবে এ শুল্কের পরিমাণ কমিয়ে ১ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *