স্বর্ণের বৈশ্বিক চাহিদা অর্ধেকই চীন ও ভারতের নিয়ন্ত্রণে

ধাতুর বাজারে সবচেয়ে মূল্যবান বিবেচনা করা হয় স্বর্ণকে। গত এক দশকে বিশ্বব্যাপী ধাতুটির চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। এ সময় স্বর্ণের সম্মিলিত চাহিদার অর্ধেকই রয়েছে যথাক্রমে চীন ও ভারতের দখলে। আর খাতভিত্তিক হিসেবে গত এক দশকে অলংকার তৈরিতে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ ব্যবহার হয়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ডব্লিউজিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দশকে সম্মিলিত বৈশ্বিক চাহিদার ৫১ শতাংশ স্বর্ণ অলংকার তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে। খাত হিসেবে তালিকায় এরপর রয়েছে বার ও কয়েন। এক দশকে বিশ্বব্যাপী এ খাতে ২৭ শতাংশ স্বর্ণ ব্যবহার হয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোয় স্বর্ণের সম্মিলিত চাহিদা। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সম্মিলিত বৈশ্বিক চাহিদার ১০ শতাংশ স্বর্ণ কিনেছে। অন্যদিকে ২০০৯-১৮ সময়ে প্রযুক্তি খাতে বৈশ্বিক চাহিদার ৯ শতাংশ স্বর্ণ ব্যবহার হয়েছে। একই সময় বিশ্বব্যাপী ইটিএফ হিসেবে মূল্যবান ধাতুটির চাহিদা ছিল সম্মিলিত বৈশ্বিক চাহিদার ৩ শতাংশ।

স্বর্ণের ভোক্তা দেশ হিসেবে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে চীন। তালিকায় এর পরই ভারতের অবস্থান। ডব্লিউজিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দশকে স্বর্ণের সম্মিলিত বৈশ্বিক চাহিদার ২৭ শতাংশ চীনে ব্যবহার হয়েছে। এ সময় ভারতে মূল্যবান ধাতুটির সম্মিলিত চাহিদা ছিল ২৩ শতাংশ। সে হিসাবে ২০০৯-১৮ সময়ে চীন ও ভারত সম্মিলিতভাবে বৈশ্বিক চাহিদার ৫০ শতাংশ স্বর্ণ ব্যবহার কমেছে।

গত এক দশকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সব মিলিয়ে বৈশ্বিক চাহিদার ১০ শতাংশ স্বর্ণ ব্যবহার করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় মূল্যবান ধাতুটির সম্মিলিত চাহিদা ছিল ৮ শতাংশ। এ সময় ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোয় স্বর্ণের সম্মিলিত চাহিদা ছিল বৈশ্বিক চাহিদার যথাক্রমে ১২ ও ৯ শতাংশ। আর উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকা, ওশেনিয়ার দেশগুলো সম্মিলিতভাবে বাকি ১১ শতাংশ স্বর্ণ ব্যবহার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *