সৌরশক্তিতে চীন-নির্ভরতা কমাতে চায় ইইউ

স্টাফ রিপোর্টার

বিকাশমান সৌরশক্তিতে চীনা পণ্যের আধিপত্য কমাতে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপে এ শিল্পের নীতিনির্ধারকরা। তবে এতে ক্লিন এনার্জির লক্ষ্যমাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন আমদানিকারকরা। খবর রয়টার্স।

ইইউ অঞ্চল সৌরশক্তি খাতে চীনের ওপর নির্ভরশীল। ইউরোপীয় কমিশনের মতে, চীন থেকে সৌর প্যানেলের জন্য ৯০ শতাংশের বেশি ইনগট ও ওয়েফার আমদানি করা হয়।

ইইউ গত বছর রেকর্ড ৪০ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ ক্ষমতা স্থাপন করেছে।

ব্রাসেলস ও ইউরোপীয় সরকারগুলো ক্লিন টেক ম্যানুফ্যাকচারিং সম্প্রসারণ ও এ সম্পর্কিত পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় চীনা পণ্যের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করার চেষ্টা করছে। এ কারণে আমদানির ওপর কঠোর পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করায় এই আহ্বান আসে।

ইউরোপীয় কমিশন চলতি মাসে একটি তদন্ত শুরু করেছে। যার মাধ্যমে সস্তা চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানির বিরুদ্ধে ইইউ নিজস্ব নির্মাতাদের রক্ষার জন্য শুল্কের দিকে যেতে পারে। এরই মধ্যে জার্মানি বাণিজ্য সুরক্ষার বিভিন্ন ধরনের বিকল্প পরীক্ষা করে দেখেছে।

প্রতিক্রিয়ায় শিল্প গ্রুপ সোলারপাওয়ার ইউরোপের বোর্ড ডিরেক্টর গুন্টার এরফুর্ট বলেছেন, ইউরোপীয় সৌরশিল্পের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য শুল্ক ভালো কোনো সমাধান নয়। শুল্কের মাধ্যমে সমগ্র শিল্পকে সীমায়িত কারার পরিবর্তে ইউরোপের সৌর ইনস্টলেশনগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে। সৌরশক্তির স্থাপন নিরবিচ্ছিন্ন থাকলেই ইউরোপীয় সৌর উৎপাদন ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে পারে।

এক বিবৃতিতে সোলারপাওয়ার ইউরোপ বলেছে, এ বাণিজ্যিক বাধার কৌশলে দুইপক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর পরিবর্তে স্থানীয় নির্মাতাদের সহায়তা করলে উৎপাদন বাড়বে।

ইউরোপীয় নির্মাতারা অভিযোগ করে আসছেন, কম দামী চীনা সৌর মডিউলে বাজার সয়লাব হওয়ায় তারা দাম কমাতে বাধ্য করছে।

শিল্প সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, চীনা সরবরাহ সীমিত করলে ২০১৩-১৮ সালের অবস্থার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। চীনা সৌর প্যানেল ও সেলের শুল্কমুক্ত আমদানি সীমা তুলে দিলে ওই সময় ইউরোপের সৌর শক্তি ইনস্টলেশন সাময়িকভাবে হ্রাস পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *