সৌদি আরব ও ইউএইতে রফতানি হবে ১১ হাজার টন ইলিশ

স্টাফ রিপোর্টার

সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত প্রবাসীদের জন্য ১১ হাজার টন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি প্রজনন বাড়াতে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এ সময় ইলিশ বাজারজাতও করা যাবে না। এমন নির্দেশনা জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সচিবালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘‌নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কারণে ২০১২ সাল থেকে ইলিশ রফতানি বন্ধ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫ দশমিক ৩০ লাখ টন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মানুষের জন্য ইলিশ সরবরাহ বাড়ানো ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সচেষ্ট।’

ইলিশ রফতানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‌বাংলাদেশের মানুষ, যারা বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন, দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিদেশের মাটিতে বসে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পাশে ছিলেন, তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সীমিত আকারে ইলিশ মাছ রফতানির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’

ফরিদা আখতার বলেন, ‘‌সারা বছর পাঠানো না গেলেও অধিক ইলিশপ্রাপ্তির সময় আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে প্রবাসীদের জন্য ইলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।’

উপদেষ্টা আরো জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় নির্ধারণ করেছে সরকার। বাংলাদেশের জেলেরা যখন সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ রাখেন, তখন প্রতিবেশী দেশের জেলেরা এ দেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরেন। এ কারণে মৎস্যজীবীরা দীর্ঘদিন ধরে নিষেধাজ্ঞার সময় সমন্বয়ের দাবি করে আসছিলেন।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, সর্বাধিক প্রবাসী কর্মজীবী আছেন সৌদি আরবে। এ সংখ্যা প্রায় ৪৪ লাখ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী আছেন প্রায় ২২ লাখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *