সৌদি আরবের লক্ষ্য ২৪০০ কোটি ডলারের বিদেশী বিনিয়োগ

স্টাফ রিপোর্টার

বিনিয়োগ আইনের হালনাগাদ ও কিছু ক্ষেত্রে নীতি সংস্কারের কারণে সৌদি অর্থনীতিতে বিদেশীদের অংশগ্রহণ আগের তুলনায় সহজ হয়ে এসেছে, যা চলতি বছর দেশটিতে ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে বহুজাতিক ব্যাংকিং করপোরেশন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। খবর আরব নিউজ।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে ক্রমবর্ধমান এফডিআই প্রবাহ এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতে মূলধন বিনিয়োগ।

জ্বালানি তেলনির্ভর অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত হলেও খাত বৈচিত্র্যের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সৌদি আরব। অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণ প্রচেষ্টার মাঝে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এফডিআই। দেশটির লক্ষ্য চলতি দশকের শেষ নাগাদ ১০ হাজার কোটি ডলার এফডিআই আকর্ষণ।

চলতি মাসের শুরুর দিকে বিনিয়োগ আইন হালনাগাদ করার অনুমোদন দেয় সৌদি সরকার। এর অন্যতম লক্ষ্য দেশটিতে এফডিআই প্রবাহ আরো উন্নত করা। ওই সময় সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন আইনটি ব্যবসার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বাড়াবে এবং বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করবে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের বর্ধিত সুরক্ষা, আইনের শাসন, ন্যায্য আচরণ, সম্পত্তির অধিকার, মেধা সম্পদের সুরক্ষা ও তহবিল স্থানান্তর সহজতর করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি ২০২৪ সালে সৌদি আরবের ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের এফডিআই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের ১০ হাজার কোটি ডলারের এফডিআই লক্ষ্যমাত্রা থেকে তারা কিছুটা দূরে।’

২০১৪ সালে জ্বালানি তেলের দরপতনের পর বিনিয়োগ ও এ-সংক্রান্ত আইনের ক্ষেত্রে সৌদি আরবে বেশ কয়েকটি সংস্কার আনা হয়, যার সর্বশেষটি হলো সাম্প্রতিক হালনাগাদ। এর মাধ্যমে এফডিআই প্রবাহে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। এতে আইনি বিষয় সহজের মাধ্যমে শুধু বিদেশী নয়, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের সুযোগ বেড়েছে।

বড় প্রকল্পের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের সক্ষমতা নিয়ে গণমাধ্যমে কিছু জল্পনা দেখা দিয়েছে। তবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বলছে, আর্থিক নমনীয়তার ক্ষেত্রে দেশটির সূক্ষ্ম বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা প্রতিশ্রুতিশীল। তাছাড়া আগামী কয়েক বছরে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী ইব্রাহিম আল-মুবারক জানান, অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণ প্রচেষ্টা অবিচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাওয়ায় ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলো থেকে আরো এফডিআই প্রবাহের প্রতি আগ্রহী সৌদি আরব। দেশের আর্থিক খাত বিনিয়োগকারীদের অপার সুযোগ দিচ্ছে। কারণ এখানে শক্তিশালী মূলধনি ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে জিডিপির বিপরীতে দেশটিতে ঋণের পরিমাণ এখনো অনেক কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *