সোয়াজিল্যান্ডের মাধ্যমে আফ্রিকায় শুল্কমুক্তভাবে বাণিজ্য সম্ভব

স্টাফ রিপোর্টার

সোয়াজিল্যান্ডকে আফ্রিকার প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহার করে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যবসা করা যাবে। একই সঙ্গে ওই দেশেও ব্যবসা করা যাবে। আফ্রিকার অনেক দেশের সঙ্গে সোয়াজিল্যান্ডের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আছে। তাই এসব দেশে কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই ব্যবসা করতে পারে দেশটি। শুল্কমুক্তভাবে আফ্রিকার ১২০ কোটি জনসংখ্যার কাছে পৌঁছানো সম্ভব সোয়াজিল্যান্ড থেকে।

গতকাল দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা জানিয়েছেন সোয়াজিল্যান্ডের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সিনেটর ম্যানকোবা খুমালো। এফবিসিসিআই বোর্ডরুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ম্যানকোবা খুমালোর নেতৃত্বে ঢাকা সফররত সোয়াজিল্যান্ডের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল ও এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুর নেতৃত্বে ব্যবসায়ী নেতারা এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

সোয়াজিল্যান্ডের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে খুব অল্প পরিমাণে ব্যবসায়ী এখন আমাদের দেশে ব্যবসা করছে। আমরা শুধু চীন ও ভারত থেকে আমদানি করতে চাই না, বাংলাদেশকেও অন্যতম ব্যবসা সহযোগী হিসেবে চাই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন দেড় হাজার বাংলাদেশী সোয়াজিল্যান্ডে আছে।

তিনি বলেন, কৃষি, পোশাক শিল্পসহ আমাদের অনেক কিছুতে হয়তো ভালো দক্ষতা নেই। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে বিনিয়োগ করতে চাই, যাতে এখান থেকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা পাই। এছাড়া তিনি সেখানে ফার্মাসিউটিক্যালস ও বায়োটেকনোলজিতে বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনার কথাও বলেন এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সেদেশে ভ্রমণ করার আমন্ত্রণ জানান।

এফবিসিসিআই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, আমরা ২০২১ অর্থবছরে ১৪ লাখ ডলার পরিমাণ ব্যবসা করেছি সোয়াজিল্যান্ডের সঙ্গে। সেখানে ফার্নিচার, পোশাক শিল্প, চামড়াসহ অল্প কয়েকটি সেক্টরে আমাদের ব্যবসা রয়েছে। তার মানে এখানে আরো অনেক কিছুতেই ব্যবসা করার সুযোগ আছে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চালু রাখা এবং এমওইউ ও সহজ ভিসা ব্যবস্থা চালু করার কথাও বলেন তিনি।

সোয়াজিল্যান্ড প্রতিনিধি দলে ছিলেন বণিজ্য, শিল্প ও ব্যবসা মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি সেবিলে আমান্দা, একই মন্ত্রণালয়ের এমএসএমই ডিরেক্টর মুলুলেকিশাকিলে দলামিনি। এছাড়া সোয়াজিল্যান্ডে বাংলাদেশ বিজনেস কমিউনিটি থেকে মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, বদরুজ্জামান চৌধুরী ও বদরুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *