পাঁচ দিনে ওরিয়ন ইনফিউশনের দাম বাড়লো ২৩২ কোটি টাকা
গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই হয়েছে দরপতন। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৮৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে সূচকের বড় পতন হয়েছে। এমন পতনের বাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের চমক দেখিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। পাঁচ দিনেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ২৩২ কোটি টাকার বেশি। যা কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের তুলনায় ১১ দশমিক ৪১ গুণ বেশি।
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছেন মাত্র ৫৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩২৭টির। এছাড়া ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ৮৫ দশমিক ১৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৬৮ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
এমন পতনের বাজারে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের কাছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার আগ্রহের শীর্ষ চলে আসে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দাম বাড়ার শীর্ষস্থান দখল করেছে এই কোম্পানিটি। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২২ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ১১৪ টাকা ১০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩২ কোটি ৩০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬১১ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ৪৯৭ টাকা ৬০ পয়সা।
শেয়ারের দামে এমন উত্থান হওয়া কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। এর আগে ২০২২ সালে ২০ শতাংশ, ২০২১ সালে ১০ শতাংশ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ১৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে এক টাকা ৭ পয়সা।
১৯৯৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০টি। এর মধ্যে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৫৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ শেয়ার আছে।
ওরিয়ন ইনফিউশনের পরেই গত সপ্তাহে দাম বাড়ার তালিকায় ছিল কোহিনূর কেমিক্যাল। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২১ দশমিক ৮০ শতাংশ। ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে ফার্মা এইড।
এছাড়া গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা ই-জেনারেশনের ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ দাম বেড়েছে। আইটি কনসালটেন্টের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়া আরডি ফুডের ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ১০ দশমিক ৫১ শতাংশ, শাশা ডেনিমসের ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, গোল্ডেন জুবেলি মিউচুয়াল ফান্ডের ৯ দশমিক ৫৭ শতংশ এবং বিডি থাই ফুডের ৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ দাম বেড়েছে।