সেতুর রেলিং ভেঙে বাস খাদে, নিহত ৮
ফরিদপুরে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে আটজন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়েছেন। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নে সেতুর রেলিং ভেঙে বাসটি খাদে পড়ে যায়। আজ শনিবার দুপুর দুইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিকেল সাড়ে চারটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের দুজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তাঁদের নাম হানিফ ও ফারুক। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও তিনজন নারী। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কমফোর্ট লাইন পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের পাটগাতীর দিকে যাচ্ছিল। পথে ধুলদি সেতুর ডান পাশের রেলিং ভেঙে বাসটি উল্টে খাদে পড়ে যায়। এ সময় বাসের ধাক্কায় একটি মোটরসাইকেলও খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পরে আরও দুজন নিহত হন। খবর পেয়ে ফরিদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এবং করিমপুর হাইওয়ে পুলিশ ও ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ উদ্ধারকাজে অংশ নেয়।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাখাওয়াত মোস্তফা বলেন, একজনকে হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গেই মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আরেকজনকে ওয়ার্ডে নেওয়ার পর মারা যান।
দুর্ঘটনাকবলিত বাসের যাত্রী গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাকিব হোসেন (২৯) বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট পার হওয়ার পর থেকে চালক অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। যাত্রীরা বারবার বলা সত্ত্বেও বাসের গতি কমাননি তিনি। চালক ও সুপারভাইজার ছাড়া বাসে মোট ২৫ জন যাত্রী ছিলেন বলেও জানান তিনি।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত হয়েছেন। পরে আরও দুজন মারা যান। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পরপরই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধারকাজ চালানোর পর সীমিত পর্যায়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে।