সিটির তাণ্ডবে উড়ে গেলো কোপেনহেগেন

স্টাফ রিপোর্টার

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগে কোপেনহেগেনকে এক রকম উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। শেষ ষোলোর এই ম্যাচে ড্যানিশ ক্লাবটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সিটি। এই জয়ে দারুণভাবে এগিয়ে গেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে কোপেনহেগেনের মাঠে পুরো সময় ধরেই দুর্দান্ত ছিল ম্যানসিটি। এই দিন দলের হয়ে গোল করেছেন কেভিন ডি ব্রুইনা, বার্নান্দো সিলভা ও ফিল ফোডেন। তিন তারকার পৃথক গোলে পরের লেগে ২ গোল এগিয়ে থাকলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।

কোপেনহেগেনকে শুরু থেকেই চাপে রেখে গোল আদায় করতেও বেশি দেরি করেনি সিটি। মাত্র ১০ মিনিটে গোল করে দলকে লিড এনে দেন ডি ব্রুইনা। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেও গত কয়েক ম্যাচ ধরেই দুর্দান্ত খেলছেন এই বেলজিয়ান তারকা।

শুরুর চাপ সিটি অব্যাহত রেখেছিল জ্যাক গ্রিলিশের ইনজুরি হওয়ার আগ পর্যন্ত। গ্রিলিশ চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে জেরেমি ডকুকে নামায় গার্দিওলা। এরইমধ্যে সিটির জালে বল জড়িয়ে চমক দেখায় কোপেনহেগেন। ৩৪ মিনিটে গোল করে ১-১ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

গোলটি মূলত নিজের দোষের কারণেই হজম করতে হয়েছে সিটিকে। গোলরক্ষক এডারসনের দুর্বল শট কোপেনগেনের খেলোয়াড় মোহাম্মদ এলিওনৌসুর কাছে গেলে তিনি ম্যাটসনকে পাস করে দেন। বল রিসিভ করে বাঁকানো দুর্দান্ত শটে সিটির জাল কাঁপান ম্যাটসন।

এরপর বিরতিতে যাওয়ার আগে ৪৫ মিনিটে সিটির হয়ে গোল করেন বার্নান্দো সিলভা। তার গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় সিটি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে (৯০+২) ফিল ফোডেন গোল করে সিটিকে ২ গোল এগিয়ে দিয়ে প্রথম লেগ শেষ করেন।

ম্যাচ শেষে সিটি ম্যানেজার গার্দিওলা টিএনটি স্পোর্টকে বলেন, ‘সত্যিই, সত্যিই ভালো, আমি খুবই গর্বিত। এটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আজকের খেলাটা নিখুঁত ছিল। তারা সঠিক মুহুর্তে ধৈর্য ধরেছিল। সত্যিই ভালো। তৃতীয় গোলটি আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। আশা করি, আমরা এটি ঘরের মাঠে শেষ করে পরের ম্যাচে যেতে পারবো।’

সিটি কোচ আরও বলেন, ‘আমরা একটি গোল হজম করেছি। কিন্তু কখনও কখনও তা ঘটে। দ্বিতীয়ার্ধে তারা পেছনে পাঁচজন খেলেছে কিন্তু সাধারণভাবে আমরা ভালো করেছি। আমরা পাসের ক্ষেত্রে আমরা ভুল করিনি বা জনতার দলকে সমর্থনও আমাদের প্রভাবিত করতে পারেনি। আমাদের নিখুঁত খেলা ছিল, তাই সত্যিই খুশি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *