সিটির কাছে পাত্তাই পেল না ইউনাইটেড

শেষ ১৪টি লিগ ম্যাচে ৮টিতেই জয়। ম্যান সিটির আধিপত্য এই সামান্য ক্ষুদ্র একটি পরিসংখ্যান দিয়েই বুঝিয়ে দেওয়া যায়। ম্যানচেস্টার ডার্বিতেও মূলত সেটিরই প্রতিফলন দেখলো সবাই। ১৭৭ নাম্বার ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হেসেখেলে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারলো পেপ গার্দিওলার ম্যান সিটি। সিটির হয়ে একটি করে গোল করে ডেভিড সিলভা, আগুয়েরো এবং আগুয়েরো।

ম্যাচের শুরুতেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শতবর্ষ উপলক্ষে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় দু’দল। জুভেন্টাসকে হারিয়ে বেশ চাঙ্গা মনোভাব নিয়েই এদিন নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে আসে ইউনাইটেড। পল পগবাকে একাদশে না রেখে বেশ চমকই দেন মরিনহো। মাঠেও তার অনুপস্থিতি বেশ ভালভাবেই টের পেয়েছে দলটি।

ম্যাচের শুরুতেই পুরো মাঝমাঠ দখলে নিয়ে খেলতে থাকে সিটি। গোলও পেয়ে যায় বেশ দ্রুত। ১২ মিনিটে লেফ উইং থেকে রহিম স্টার্লিংয়ের বাড়ানো ক্রসে বার্নার্দো সিলভা হেড করলে সেটি চলে আসে ডেভিড সিলভার কাছে। ডি বক্সের ভেতর ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে সেটিকে গোলে রূপান্তর করতে ভুল করেননি এই স্প্যানিয়ার্ড।

প্রথমার্ধে আর তেমন পরিকল্পিত আক্রমণ করতে পারেনি কোন দল তবে ৪৪ মিনিটে আগুয়েরোর শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে দুই গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যেতে পারতো সিটি।

দ্বিতীয়ার্ধেও চলে সিটিজেনদের আধিপত্য। ৪৮ মিনিটেই সিটিকে ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে দেন সার্জিও আগুয়েরো। ম্যানচেস্টার ডার্বিতে এটি তার ৮ম গোল এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে রেকর্ড ৮ম গোল।

তবে ৫৭ মিনিটে বদলি হিসেবে এর এক মিনিট পর পেনাল্টি আদায় করে নেন রোমেলু লুকাকু। এডারসন তাকে ডি বক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় মরিনহোর দল। স্পট কিক থেকে এক গোল শোধ দেন মার্শিয়াল।

ম্যাচের একদম শেষ দিকে ৮৬ মিনিটে বার্নার্দো সিলভার মাপা ক্রসে ডি বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে দীর্ঘদিন পর ইনজুরি থেকে ফিরে গোল পান সিটির বদলি হিসেবে নামা ইল্কাই গুন্দোগান। ৩-১ গোলের প্রত্যাশিত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সিটি। এই জয়ে ১২ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে সিটি। অন্যদিকে, সমান সংখ্যক ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৯ নম্বরে মরিনহোর ইউনাইটেড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *