সিঙ্গাপুরের রফতানি সূচক নিম্নমুখী
ধারাবাহিকভাবে নবম মাসের মতো নিম্নমুখী সিঙ্গাপুরের রফতানি সূচক। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো ও প্রধান রফতানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে কমেছে চালান, যদিও তুলনামূলকভাবে চীনে বেড়েছে। সম্প্রতি এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুরের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে। খবর দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।
প্রতিবেদন অনুসারে, সিঙ্গাপুরের তেলবহির্ভূত খাতে রফতানি সংকুচিত হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। মে মাসে সংকুচিত হয়েছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। যদিও ব্লুমবার্গ জুনে রফতানি ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ পতনের পূর্বাভাস দিয়েছিল।
ইলেকট্রনিক পণ্যবহির্ভূত খাতে চালান কমেছে ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ, যা মে মাসে কমেছিল ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। পেট্রো কেমিক্যাল ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য রফতানি কমেছে যথাক্রমে ৩৪ ও ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ। জুনে ইলেকট্রনিক পণ্য রফতানি ১৫ দশমিক ৯ শতাংশে নেমেছে। যদিও মে মাসে কমেছিল ২৭ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, ডিস্ক মিডিয়া পণ্য ও অন্যান্য পণ্যেও রফতানি সূচকের পতন ঘটেছে।
দেশটির রফতানি গন্তব্যের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসছে। সিঙ্গাপুর থেকে চীনে রফতানি বেড়েছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২২ সালের জুনের পর টানা দ্বিতীয় মাসের মতো রফতানি বাড়ল চীনে। সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় বৃহৎ রফতানি গন্তব্য চীন, প্রধান গন্তব্য হিসেবে জায়গা দখল করে আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে জুনে রফতানি কমেছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ। যদিও মে মাসে রফতানি বেড়েছিল ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে রফতানি কমেছে। গত বছরের তুলনায় সার্বিকভাবে বাণিজ্য সংকুচিত হয়েছে ১৯ দশমিক ২ শতাংশ। মে মাসে সংকুচিত হয়েছিল ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। সিঙ্গাপুরের অর্থনীতিতে রফতানি পতনের প্রভাব পড়েছে। তবে দেশটির প্রবৃদ্ধি প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী। প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল দশমিক ৪ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে দশমিক ৭ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলোতেও অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী।
বিশেষ করে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার অবস্থা, যা আগামী দিনগুলোতে রফতানি সূচকে প্রভাব ফেলবে।