সাড়ে ১৭ কোটি টাকার জিরা আমদানি

স্টাফ রিপোর্টার

দাম বেড়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে জিরা আমদানি কমেছে। গত চার মাসে এ বন্দর দিয়ে সাড়ে ১৭ কোটি টাকার জিরা আমদানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম।

ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, ডলারের মূল্য বেশি হওয়ার পাশাপাশি ভারতে মসলাজাত সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ কারণে আমদানিতে অনাগ্রহ দেখা দিয়েছে। কমছে চাহিদাও।

ভোমরা স্থলবন্দরের জিরা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধািরী মো. আবু হাসান জানান, অন্যান্য মসলা পণ্যের পাশাপাশি বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জিরা আমদানি করে তার প্রতিষ্ঠান। তবে সম্প্রতি ভারতে জিরার দাম বাড়ার কারণে আমদানি কিছুটা কমে গিয়েছে।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে ৯৭৯ টন। যার মূল্য ১৭ কোটি কোটি ৫৬ লাখ টাকা, যা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে জিরা আমদানি হয়েছিল ১ হাজার ২০০ টন। যার মূল্য ছিল ১৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিল ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আমদানি কমেছে ২২১ টন।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার জানান, চলতি অর্থবছরে জিরা আমদানি কিছুটা কমেছে। উৎসকরযুক্ত যেসব পণ্য আমদানি হয়, তার মধ্যে জিরা উল্লেখযোগ্য।

সাতক্ষীরা জেলার সবচেয়ে বড় মসলার আড়ত সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি মসল্যা বিপণিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি জিরার দাম বেড়েছে ৬০-৬৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। ভারত, পাকিস্তান ও ইরান থেকে আমদানীকৃত জিরার দাম কেজিতে বেড়েছে ৬০-৬৫ টাকা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *