সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশ
তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত বোলিং ও তৌহিদ হৃদয়-শাহাদাত হোসেনদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।
সোমবার উর্স্টারশায়ারের কাউন্টি গ্রাউন্ডে টাইগার যুবা তানজিম সাকিবের আগুনে বোলিংয়ের বিপক্ষে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে তারা দাঁড় করায় ৭ উইকেটে ২০০ রানের সংগ্রহ। যা কি-না মাত্র ৩৮.১ ওভারেই টপকে গিয়েছে টাইগার যুবারা।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা অবশ্য মনের মতো হয়নি। দলীয় ১১ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান (৯)। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে প্রান্তিক নওরোজকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন মাহমুদুল হাসান জয়। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংস। নওরোজ আউট হন ১৪ রান করে।
এ দুজনের ব্যাটে শুরুর ছন্দ পেয়ে যান পরের দুই ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় ও শাহাদাত হোসেন। ম্যাচ জেতানো জুটিতে দুজন যোগ করেন ১১৪ রান। নিজের অর্ধশতক তুলে নিয়ে শাহাদাত আউট হন ৫৭ রান করে।
তবে অধিনায়ক আকবর আলিকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ছাড়েন তৌহিদ। তিনি খেলেন ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস। আকবরের ব্যাট থেকে আসে ৯ রান।
এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত জানান ইংলিশ যুব দলের অধিনায়ক জর্জ হিল। কিন্তু এ সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। অবশ্য বলা ভালো, তাদেরকে তা করতে দেননি বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার সাকিব।
স্কোরবোর্ডে মাত্র ৭১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। অবশ্য শুরুটা ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার টম ক্লার্ক (২৭) ও ড্যানিয়েল মুসলি (২০)। দুজনের জুটিতে আসে ৪৯ রান। ইনিংসের ১০ম ওভারের শেষ বলে ড্যান মুসলি রানআউটে কাটা পড়লেই মোড়ক লেগে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংসে।
পরের ২২ রানে আরও ৪ উইকেট হারায় তারা। দুই ওপেনারের পর জ্যাক হেইনস ৩ ও জো এভিসন আউট হন ০ রান করে। অধিনায়ক জর্জ হিলও ৫ রানের বেশি করতে পারেননি। ইনিংসের ২৭তম ওভারে ৮৭ রানের মাথায় ইংলিশরা তাদের ৬ষ্ঠ উইকেট হারায়।
এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন লুইস গোল্ডওয়ার্থি এবং ক্যাসে অলরিজ। দুজন মিলে ২২.১ ওভারে যোগ করেন ১১১ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে ৫৮ রান করে অলরিজকে সোজা বোল্ড করেন সাকিব। তবে ৬৯ রান করে অপরাজিতই থেকে যান গোল্ডওয়ার্থি। ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ঠিক ২০০ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ৪ উইকেট নেন তানজিম সাকিব। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর নামের পাশে বসে ১টি উইকেট।