সমুদ্রে ভাসছে পাথর আকার ২০,০০০ ফুটবল মাঠের সমান

অস্ট্রেলিয়ার কাছে একটি প্রকাণ্ড ভাসমান আগ্নেয়শিলার সন্ধান দিল দুই নাবিক। প্রশান্ত মহাসাগরে এই নতুন ও বিশাল পাথরের আবিস্কারের ফলে স্বভাবতাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন জীববিজ্ঞানীরা।

সম্প্রতি গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জেরে গ্রেট বেরিয়ার রিফ প্রায় ধ্বংসের মুখে। যার ফলে বিলুপ্তির মুখে বিশাল সংখ্যক সামদ্রিক প্রাণী। তবে এই বিশালাকার আগ্নেয়শিলার সন্ধানে ফের সামদ্রিক জীববৈচিত্রে প্রাণ ফিরে পাবে বলে মনে করছেন জীববিজ্ঞানীরা।

এই আগ্নেয় পাথরটি সমুদ্রের উপরিভাগে প্রায় ১৫০ কিমি বিস্তৃত। যা গোটা ম্যানহাটান শহরটি এই পর্বতের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে। এছাড়াও এর বিস্তৃতি সম্পর্কে বলতে গেলে আরও ভালো হয়, এটি প্রায় ২০ হাজার ফুটবল মাঠের সাইসেজর সমান। মনে করা হচ্ছে, অগ্ন্যুত্‍পাতের ফলেই এই বিশালাকার পাথেরর সৃষ্টি। এর গায়ে প্রচুর গর্ত ও কালো দাগ রয়েছে।

গত ৯ আগস্ট, প্রশান্ত মহাসাগর পার হওয়ার সময় এই দৈত্যাকার পাথরের হদিশ পান অস্ট্রেলিয়ান দম্পতি। তারা অনলাইনে জানান, আমার এক পাহাড়ি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করি। যেখানে বাস্কেটবল থেকে মার্বেলের সাইজের পিউমিস পাথর দিয়ে তৈরি শিলাটি মহাসাগরের উপর ভেসে রয়েছে। চাঁদের আলোয় ও বোটের স্পটলাইটে এই পাথর স্পষ্ট দেখা গেছে।

একই দিনে, নাসাও এই ভাসমান নয়া পর্বতের হদিশ দেয়। নাসার স্পেস স্যাটেলাইটেও এই বিশালাকর পাথর দেখতে পাওয়া যায়। একই তথ্য নিয়ে নাসাও সেই ছবি প্রকাশ করে এদিন। তবে, এই ভাসমান বিশালাকার আগ্নেয়পর্বতে অস্ট্রেলিয়ার কোরাল রিফের সামদ্রিক জীববৈচিত্রকে অনেকটাই স্বস্তি দেবে বলে মনে করছেন ড. জুটজেলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *