সবজির ১০ গুণ বেশি দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে
এক কেজি পটল উৎপাদনে চাষির খরচ সাড়ে সাত টাকা। স্থানীয় পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ১৪-১৫ টাকায়। ঢাকার কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে দাম পড়ে মানভেদে ৩৫-৪০ টাকা। আর খুচরা বাজারে সেই পটল কিনতে একজন ভোক্তাকে গুনতে হয় ৮০ টাকা পর্যন্ত। চাষি থেকে কয়েক হাত ঘুরতেই একই সবজির দাম বেড়ে হচ্ছে ১০ গুণ।
চাষি, পাইকারের সঙ্গে কথা বলে ও সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সবজির দাম বিষয়ক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া যায়।
হাত বদলে পাইকারি ও খুচরা বাজারের দামের এই ফারাক শুধু পটলে নয়, প্রায় সব সবজিতেই। সরকারি তথ্যই বলছে- বর্তমানে বেগুন, করলা, ঢেঁড়স, লাউ, চিচিংগা, কচুরলতি, টমেটো, শসাসহ বিভিন্ন সবজি বিক্রি হচ্ছে উৎপাদন খরচের চেয়ে ছয় থেকে দশগুণ বেশি দামে। এর মধ্যে শুধু পাইকারি ও খুচরা বাজারের মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে দাম বাড়ছে প্রায় চারগুণ। এছাড়া রয়েছে অস্বাভাবিক পরিবহন ব্যয়, রাস্তায় চাঁদাবাজি, উৎপাদনকেন্দ্র থেকে বিক্রয়কেন্দ্র পর্যন্ত দফায় দফায় আড়তদারি (কমিশন) খরচসহ নানা অসঙ্গত ব্যয়।
সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে বর্তমানে ঢাকার বাজারে কোনো সবজি প্রতি কেজি ৬০ টাকার নিচে মিলছে না। এতে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। চাষিও পাচ্ছে না পর্যাপ্ত দাম। মধ্যস্বত্বভোগীরা ঠিকই লাভবান হচ্ছেন।
সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ের জনবল ও গবেষণা শাখার মাধ্যমে দেশের ২৭টি গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ নির্ণয় করেছিল। প্রতিটি পণ্যের জন্য আলাদা আলাদা ৬৯ জন চাষির কাছ থেকে তাদের পণ্যের উৎপাদন খরচের তথ্য নেওয়া হয়।
ওই প্রতিবেদনে দেখানো হয়, দেশে প্রতি কেজি পটল উৎপাদনে চাষির খরচ ৭ টাকা ৫২ পয়সা। বেগুন উৎপাদন খরচ ৯ টাকা ২০ পয়সা, করলা ১১ টাকা ৪৭ পয়সা, ঢেঁড়সের ১০ টাকা ৭৯ পয়সা, চিচিংগার ৮ টাকা ৩০ পয়সা, লাউয়ের ৫ টাকা ৩৩ পয়সা, টমেটোর ৮ টাকা ২১ পয়সা এবং শসার ৮ টাকা ৪ পয়সা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, প্রতিবেদনটি দুই বছর আগের। অর্থাৎ, এর মধ্যে সার ও সেচের খরচ কিছুটা বেড়েছে। সে হিসাব ধরলে বর্তমান খরচ কেজিপ্রতি আরও ১/২ টাকা বাড়তে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে সবজির ফলনও এসময় কিছুটা বেড়েছে, সে বিষয়টি মাথায় নিলে আবার দামের খুব বেশি তারতম্যও হয়নি।
ওই প্রতিবেদনে ফসলের উৎপাদন পর্যায়ে চাষির সব খরচের উল্লেখ রয়েছে। যেমন- পটল উৎপাদনের ক্ষেত্রে একজন চাষির প্রতি একরে ব্যয় হয় ৯৫ হাজার ৫৬৪ টাকা। এর মধ্যে জমি তৈরিতে খরচ ৩ হাজার ২০৬ টাকা, সার বাবদ খরচ ১০ হাজার ৫৭৮ টাকা, বীজ বাবদ খরচ ৩ হাজার ৭৬৭ টাকা, শ্রমিকের খরচ ৩৭ হাজার ৪৪৪ টাকা, সেচ খরচ ৭ হাজার ৫৬ টাকা, বালাই ব্যবস্থাপনার খরচ (কীটনাশক ও অন্যান্য) ৮ হাজার ৮৯ টাকা।
শুধু এ খরচই নয়, এর মধ্যে জমি লিজ বা নিজস্ব হলেও সেজন্য ভাড়া/খরচ রয়েছে একরপ্রতি ১৭ হাজার টাকা। আবার চাষের সমপরিমাণ অর্থ ঋণ হলে তার সুদও হিসাবে নেওয়া হয়েছে, যা ২ হাজার ১০৩ টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য খরচ ৬ হাজার ৩২২ টাকা হিসেবে মোট খরচ ধরা হয়েছে।
এদিকে এক একরে পটলের উৎপাদন ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৭১১ কেজি। এতে দাম আসে প্রতি কেজি ৭ টাকা ৫২ পয়সা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এ খরচের হিসাব নিয়ে কথা হয় সারাদেশের দশজন চাষির সঙ্গে। তারা এ হিসাবকে প্রাসঙ্গিক বলেছেন। যদিও তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন, চলতি মৌসুমে একসঙ্গে কীটনাশক, ডিজেল, সেচ খরচ ও সারের দাম বাড়ায় খরচ বেশ বেড়েছে। সে হিসাবে উৎপাদন খরচ কেজিপ্রতি আরও ১/২ টাকা বাড়তি হবে।
কৃষি বিপণনের ওই প্রতিবেদনে তথ্য দেওয়া চাষিরা জানান, তারা পটল বিক্রি করে পাচ্ছেন প্রতি কেজিতে ১৪ টাকা ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ, উৎপাদন খরচের প্রায় দ্বিগুণ। অন্য সবজির ক্ষেত্রেও লাভের পরিমাণ দ্বিগুণ বা কাছাকাছি দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে তাদের আঞ্চলিক হাট-বাজার পর্যন্ত পরিবহন খরচসহ আরও কিছু খরচ (হাটের নির্ধারিত খাজনা ও কেনা-বেচার আড়তদারি চাঁদা) রয়েছে।
যদিও প্রতিবেদনের ওই দ্বিগুণ লাভের বিষয়ে অধিকাংশ চাষি আপত্তি জানিয়েছেন। জয়পুরহাট আক্কেলপুর সদরের কৃষক কামরুজ্জামান বলেন, আড়তদারিতেই তো কেজিতে দুই-তিন টাকা খরচ পড়ে যায়। এরপর কিছু সবজি নষ্ট হয়। সেগুলো ব্যাপারীরা নেন না। ফেলে দিতে হয়। প্রায় ১০ শতাংশ নষ্ট হিসেবে ধরতে হয়।
তিনি বলেন, এছাড়া খরচের দ্বিগুণ দাম শুধু সরবরাহে টান থাকলেই মেলে। কিন্তু যখন বাজারে সরবরাহ চাহিদার বেশি থাকে তখন উৎপাদন খরচই ওঠে না। লোকসান গুনতে হয়। ভরা মৌসুমে এ অবস্থা বেশি হয়। এমনকি হাটে ভরপুর সবজি থাকলে অনেক সময় বেঁচতে না পেরে হাটে ফেলেও আসতে হয়েছে।
নওগাঁ সদরের ভগবানপুর এলাকার চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, সবজি উৎপাদনে যে পরিমাণ ঝুঁকি, বিনিয়োগ ও পরিশ্রম করি তাতে লাভ বেশি নয়। আর যেভাবে বীজ কীটনাশকের দাম বাড়ছে তাতে লাভের অংশ দিন দিন কমছে।
তিনি বলেন, অনেক সময় সবজি তিন থেকে পাঁচ টাকা কেজির মধ্যে বিক্রি হয় পাইকারি। বেগুন, পটলের ক্ষেত্রে প্রতিবছর ভরা মৌসুমে এমন হয়। তখন উৎপাদনের অর্ধেক খরচও ওঠে না।
যেখানে চাষিরা সবজি বিক্রি করেন (গ্রামগঞ্জের হাট) সেখান থেকে শুরু করে খুচরা বাজার পর্যন্ত এখন কয়েক স্তরে মধ্যস্বত্বভোগী রয়েছে। কয়েকজন চাষি জানান, তারা গ্রামের হাটে ব্যাপারীদের কাছে পণ্য বেচেন, যারা কোনো আড়তদারের প্রতিনিধি হিসেবে এসব পণ্য কিনে নেন।
এসব আড়তদারের প্রতিনিধি ব্যাপারীরা গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক স্তরের মধ্যস্বত্বভোগী। কেজিপ্রতি এক থেকে তিন টাকা কমিশনের বিনিময়ে তারা গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে সবজি কিনে দেন। এরপর এসব পণ্য গ্রামের আড়তে আসে। সেখান থেকে আরও কিছু দাম (আড়তদারের মুনাফা) যোগ হয়ে যায় আঞ্চলিক বড় মোকামে। যেমন- উত্তরবঙ্গের সবজির সবচেয়ে বড় মোকাম বগুড়া মহাস্থান হাট।
জানতে চাইলে মহাস্থান হাটের আড়ত মালিক মো. ফারুক মিয়া জানান, তার কাছে পণ্য পৌঁছার আগে দু-হাত ঘুরে এসেছে। এতে দামের তারতম্য প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। এর মধ্যে পরিবহন ও শ্রমিক খরচ রয়েছে। একদফা আড়তদারি (কমিশন) দেওয়া হয়েছে। তারা এরপর মুনাফা নিয়ে চাহিদামতো সারাদেশের বিভিন্ন শহরের পাইকারি আড়তে পাঠান। সেখানেও একদফা আড়তদারি দিতে হয়।
এরপর রাজধানীর ক্ষেত্রে সে সবজির বড় অংশ আসে কারওয়ান বাজারে। সেখানে ট্রাক থেকে পণ্য আবারও আড়তে নেন ব্যবসায়ীরা। আড়তে চাহিদামতো কয়েক হাত বদল হয়। দাম বেড়ে যায় আরেকগুণ। কারণ মুনাফা করতে সেখানে রয়েছে শত শত পাইকার, ফড়িয়া ব্যবসায়ী, মজুতদার এবং রপ্তানিকারকের প্রতিনিধি। এছাড়াও সেখানে নানা ধরনের সবজি থেকে নিজের চাহিদার পদের সবজি কিনে নেন কিছু পাইকারি বিক্রেতা। আবার কখনো সরাসরি আড়ত থেকে খুচরা বিক্রেতারা কেনেন। আর প্রতিটি কেনা-বেচায় ব্যবসায়ীদের পকেটে মুনাফার পাশাপাশি দিতে হয় আড়তদারি।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কৃষিপণ্য কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তার কাছে যেতে ন্যূনতম তিন দফা হাত বদল হয়। এ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী, পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরা ব্যবসায়ী প্রত্যেক স্তরের ব্যবসায়ীরা কৃষকের চেয়ে অনেক বেশি লাভ করেন।
রাজধানীতে সবজি আনেন এমন কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, বগুড়ার মহাস্থান হাট থেকে ঢাকায় ১৪ টন সবজি পরিবহনে আগে ভাড়া ছিল ২০ হাজার টাকা। এখন ভাড়া গুনতে হচ্ছে যথাক্রমে ৩০-৩২ হাজার টাকা। গত কয়েক মাসে প্রতিটি পথের ভাড়াই বেড়েছে গড়ে ২৫ শতাংশ।
এছাড়া পরিবহন খরচ ছাড়াও আছে হাটের টোল খরচ, বস্তাজাত করার শ্রমিক ও কুলি খরচ। এছাড়া পথে পথে চাঁদা। সেখান থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে বগুড়া বাইপাস, শেরপুর, কড্ডার মোড়, এলেঙ্গা বাইপাস, টাঙ্গাইল বাইপাস, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় দুই-তিন হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়।
আকতারুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, পথে পথে চাঁদার কারণে সবজির দাম বাড়ে। সবজির ট্রাক দেখলেই চাঁদা চাওয়া হয়। না দিলে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। দ্রুত পরিবহনের জন্য ঝামেলা এড়াতে বাধ্য হয়ে চাঁদা দেওয়া লাগে।
জয়পুরহাট থেকে কচুর লতি যায় সারাদেশে। রপ্তানিও হয় সেখানকার লতি। ২৪ মে ওই এলাকার চাষি থেকে শুরু করে কথা হয় ঢাকার খুচরা সবজি বাজারের বিক্রেতা পর্যন্ত। সেখানে দেখা যায়, ঢাকার খুচরা বাজারে এসে ওই লতির দাম হয়ে গেছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা।
জানতে চাইলে ওইদিন সকালে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি বাজারের লতি চাষি সবুজ মিয়া বলেন, সকালে ২৫ টাকা কেজি দরে লতি বিক্রি করেছি। এখান থেকে লতি পাঠাতে কেজিপ্রতি পরিবহন খরচ দুই টাকা হওয়ার কথা।
একই দিন রাতে কারওয়ান বাজারের টিনশেড মার্কেটের আড়তে ওই লতি ৪০ থেকে ৪৩ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। আর পরের দিন (২৫ মে) সকালে রামপুরা বাজারে সে লতি বিক্রি হচ্ছিল ৮০ টাকা।
সেখানে খুচরা বিক্রেতা এনামুলকে দামের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘সবাই শুধু লাভ দেখে। কিন্তু প্রতিদিন যে রাতে অবিক্রীত সবজি পানির দামে বিক্রি করতে হয় সেটা কেউ দেখে না। দোকানে পচে যে সবজি নষ্ট হয় সেটার হিসাব কেউ নেয় না।‘
তিনি বলেন, পণ্য কেনার পরে সেটা প্যাকিং ও পরিবহন খরচ আছে। কারওয়ান বাজার থেকে রামপুরা প্রতি ভ্যান সবজির ভাড়া ৫শ টাকা। এরপর কিছু মাল নষ্ট থাকে। সেগুলো কম দামে বিক্রি করতে হয়। শুকিয়ে ওজনে ঘাটতি হয়। এরপর দোকান ভাড়া, লেবার বিল, কর্মীদের বেতন রয়েছে। বেশি খরচের কারণে বাধ্য হয়ে বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের গত বছর আরেকটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিল কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য। তাতে কৃষক পর্যায় থেকে ভোক্তা পর্যায়ে যেতে কীভাবে কৃষিপণ্যের দাম বাড়ে, তা দেখানো হয়। ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, ব্যবসায়ীদের মধ্যে ফড়িয়ারা ৬ থেকে ৭, পাইকাররা ১১ থেকে ২১ শতাংশ লাভ করেন। যেখানে রাজধানীর খুচরা ব্যবসায়ীরা মুনাফা করেন ৩৩ থেকে ৪৬ শতাংশ।
বেচা-কেনার মধ্যে একজন ব্যবসায়ী কী মাত্রায় মুনাফা করবেন, সে বিষয়ে কোনো তদারকি বা নিয়ম-নীতি নেই এদেশে। যে কারণে কৃষক থেকে ভোক্তা- চার শ্রেণির ব্যবসায়ীর মধ্যেই অনৈতিক মুনাফাপ্রবণতা রয়েছে। সঠিক ও কার্যকর নীতিমালার মাধ্যমে এ অনৈতিকতা রোধ করার পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দামের অস্বাভাবিক তারতম্যের জন্য বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার সরাসরি দায়ী করছেন খুচরা বিক্রেতাদের। কচুর লতির দামের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ৪০ টাকায় লতি কিনে খুচরা বিক্রেতারা কীভাবে ৮০ টাকায় বিক্রি করেন। তাদের এত ব্যয় হয় কীভাবে। আসলে এখন বাজারে সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেটকারী খুচরা বিক্রেতারা। বাজারভিত্তিক সিন্ডিকেট মুনাফা করছে আর এ দায় নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সরকারের এ বিষয়টি দেখা প্রয়োজন।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মাসুদ করিম বলেন, প্রতিটি বাজারে পণ্যভিত্তিক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এগুলো শক্তভাবে মনিটরিং দরকার। চাষি ও ক্রেতার মধ্যে এতগুলো পর্যায়ে হাতবদল প্রক্রিয়াকেও পরিবর্তন করতে হবে। আর গ্রাম থেকে শহরে প্রচুর অলিখিত সিন্ডিকেট রয়েছে সেগুলো ভাঙতে হবে।
হাত বদল কম হলে সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, চাষিরা সমিতি বা অন্য কোনো মাধ্যমে খুচরা বাজারে সবজি বিক্রি করতে পারলে তারাও সুফল পাবে, ভোক্তাও পাবে। অর্থাৎ, উৎপাদনকেন্দ্র থেকে বিক্রয়কেন্দ্রে সরাসরি যোগসাজশ তৈরি করতে হবে। এজন্য সমবায় সমিতির মাধ্যমে উৎপাদন পর্যায় থেকে সবজি সরাসরি বাজারজাত করা গেলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিতে হবে। সঠিক ও কার্যকর নীতিমালা প্রয়োজন।