শ্রীলঙ্কাকে বিদায় করে সুপার ফোরে আফগানিস্তান

খুবই দুর্ভাগ্য নিয়ে এশিয়া কাপে খেলতে এসেছিল শ্রীলঙ্কা। না হয়, বাংলাদেশের কাছে হারলেও কেন আফগানিস্তানের মতো দলের কাছে হারতে হবে তাদের? আবুধাবির শেখ জায়েদ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের কাছে ৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে এশিয়া কাপ থেকে সবার আগে বিদায় নিলো লঙ্কানরা। সেইসঙ্গে বাংলাদেশও উঠে গেল সুপার ফোরে।

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের পরেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা মাঠে নেমেছিল, বাঁচা-মরার লড়াই সামনে নিয়ে। কারণ হারলেই যে বিদায়। জিতলে টিকে থাকতো সম্ভাবনা। আবার সমীকরণ ছিল, লঙ্কানরা হারলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশ এবং আফগানদের সুপার ফোর।

কিন্তু এমন সমীকরণের ম্যাচেও ঘুরে দাঁড়াতে পারলো না শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তানের ছুঁড়ে দেয়া ২৫০ রানের জবাব দিতে নেমে ৪১.২ ওভারে মাত্র ১৫৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত পরের সমীকরণই মিলে গেলো। সুপার ফোরে উঠে গেলো বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান গ্রুপের শেষ ম্যাচটি পরিণত হলো, নিয়ম রক্ষার লড়াইয়ে।

আফগান স্পিনবিষেই নিল হতে হয়েছে লঙ্কানদের। রশিদ খান, মুজিব-উর রহমান এবং মোহাম্মদ নবি নেন ২টি করে উইকেট। মিডিয়াম পেসার গুলবাদিন নাইব নেন ২টি। ২ জন হলেন রানআউট।

জয় ছাড়া বিকল্প নেই এমন সমীকরণের ম্যাচে আবুধাবির শেখ জায়েদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শুরুতেই টস হেরে বসে লঙ্কানরা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কাকে ২৫০ রানের লক্ষ্য বেধে দেয় আফগানরা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই মুজিব-উর রহমানের বলে উইকেট হারিয়ে বসে কুশল মেন্ডিস। এরপর উপুল থারাঙ্গা আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ভালোই বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। দুজন ৫৪ রানের জুটি গড়েন। ৩৬ রান করেন উপুল থারাঙ্গা। ২৩ রান করেন ডি সিলভা। এবার রানআউটের খাঁড়ায় পড়ে ভাঙে জুটি। ফিরে যান ডি সিলভা।

কুশল পেরেরা মাঠে নেমে চেষ্টা করেন থারাঙ্গার সঙ্গে জুটি বাঁধার। ১৭ রান করেন তিনি। দলীয় ৮৬ রানে কুশল পেরেরা ফিরে যেতেই একেবারে ভেঙে পড়ে যেন লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনআপ। ৮৮ রানে ফেরেন সর্বোচ্চ রান করা থারাঙ্গা। ১০৮ রানের মাথায় ফিরে যান সেনান জয়সুরিয়া।

এরপর দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ এবং থিসারা পেরেরা মিলে চেষ্টা করেন দলের হালধরার। কিন্তু ৩৫ রানের জুটি গড়ার পর এবার আর স্পিনের সামনে টিকতে পারলেন না অধিনায়ক ম্যাথিউজ। ব্যক্তিগত ২২ রানের মাথায় মোহাম্মদ নবির স্লো বল উঠিয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন রশিদ খানের হাতে।

দাসুন শানাকা ব্যাট করতে নেমেই মুজিব-উর রহমানের ইনসুইঙ্গারে কাটা পড়ে বিদায় নেন। আকিলা ধনঞ্জয়াকে বোল্ড করেন মোহাম্মদ নবি। থিসারা পেরেরার মত ব্যাটসম্যান গুলবাদিন নাইবের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে গেলেন। তিনি করেন ২৮ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এলবিডব্লিউ হলেন লাসিথ মালিঙ্গা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *