শ্রীলংকার প্রয়োজন ৫০০ কোটি ডলার

স্টাফ রিপোর্টার

জীবনযাত্রার ন্যুনতম মান বজায় রাখতে আগামী ছয় মাসে শ্রীলংকার ৫০০ কোটি ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। এর মধ্যে জ্বালানি আমদানিতেই লাগবে ৩৩০ কোটি ডলার। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সংসদে এসব তথ্য জানান তিনি। খবর বিবিসি।

রনিল বিক্রমাসিংহে জানান, আগামী ছয় মাসে সাধারণ মানুষের ন্যুনতম মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য জ্বালানি আমদানি ছাড়া খাদ্য আমদানির জন্য ৯০ কোটি ডলার, রান্নার গ্যাস আমদানির জন্য ২৫ কোটি ডলার এবং সার আমদানিতে ৬০ কোটি ডলার প্রয়োজন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধারণা করছে ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ৩.৫ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। তবে তিনি আশাবাদী কঠোর সংস্কার প্যাকেজ, ঋণ পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক সমর্থনে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।

লংকান প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যথেষ্ট নয়, আমাদের পুরো অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করতে হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে আমাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে হবে। দ্বীপ রাষ্ট্রটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলার মূল্যের ঋণ প্যাকেজ পাওয়ার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে চীন, ভারত ও জাপানের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছে দেশটি। মঙ্গলবার ভারতের এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে ৫৫ মিলিয়ন ডলার ক্রেডিট লাইন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই অর্থ দেড় রাখ টন ইউরিয়া আমদানিতে ব্যবহার করা হবে। বিক্রমাসিংহে জানিয়েছেন, বুধবার বিশ্বজুড়ে শ্রীলংকার জন্য আহ্বান জানাতে পারে জাতিসংঘ। সংস্থাটি খাদ্য, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তিনি আরো জানান, আর্থিক সঙ্কটে থাকা দেশটি অনেকে অনেক মানুষ খাদ্যহীন রয়েছে। তাই সকলের খাবার নিশ্চিতে সরকার খাদ্য কর্মসূচি শুরু করেছে। যেসব পরিবারে কোনো আয় থাকবে না, তাদের জন্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে খাবার রান্না করার কথা ভাবছে সরকার।

প্রসঙ্গত, সাত দশকের মধ্যে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে শ্রীলংকা। ওষুধ, জ্বালানি ও সারের মতো জরুরি পণ্য আমদানি করার মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেই দেশটির। এতে করে মুদ্রার দরপতন, নিত্যপণ্য ঘাটতি এবং গণবিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। রাজপথে বিক্ষোভকারীরা সরকারের পরিবর্তনের ডাক দিচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *