শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান
গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দুই কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। সেই সঙ্গে দাম বাড়ে প্রায় অর্ধেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কিছুটা বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হওয়া ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে। তবে আগের দুই সপ্তাহে সূচকটির বড় পতন হয়।
প্রধান সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে ডিএসইর বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও। সূচকের এই উত্থানের মধ্যে বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৪৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত অর্ধ শতাংশের ওপরে বেড়েছে।
গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৩ দশমিক ৪১ পয়েন্টে, যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষেও দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত বেড়েছে দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৫২ শতাংশ।
খাতভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বরাবরের মতো সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৯ দশমিক ২৭ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৯ দশমিক ১৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ ব্যাংক খাতের পিই আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক ১২ পয়েন্ট বেড়েছে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা টেলিযোগাযোগ খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১২ দশমিক ৬১ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে এই খাতের পিই রেশিও ছিল ১২ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে। অর্থাৎ গত সপ্তাহে টেলিযোগাযোগ খাতের পিই রেশিও আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে দশমিক ১৮ পয়েন্ট।
তৃতীয় স্থানে থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ১২ পয়েন্ট। যা আগের সপ্তাহে ছিল ১২ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে। অর্থাৎ এ খাতের পিই রেশিও দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়েছে। বীমা খাতের পিই রেশিও ১৩ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্টে থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৯০ পয়েন্টে।
এছাড়া খাদ্য খাতের ১২ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে থেকে বেড়ে ১৩ দশমিক ১০ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের ১৫ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট থেকে কমে ১৫ দশমিক ২৭ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৪ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট থেকে কমে ১৪ দশমিক ৩২ পয়েন্টে এবং বস্ত্র খাতের ১৫ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট থেকে কমে ১৫ দশমিক ৩১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
পিই ২০ পয়েন্টের নিচে থাকা বাকি খাতগুলোর মধ্যে সিরামিক খাতের ১৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮ দশমিক ২৪ পয়েন্ট থেকে কমে ১৭ দশমিক ৫০ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১৭ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৭ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতের ১৮ দশমিক ১৪ পয়েন্ট থেকে কমে ১৭ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বাকি খাতগুলোর পিইও রেশিও ২০ পয়েন্টের ওপরে। এর মধ্যে- ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২১ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট থেকে কমে ২১ দশমিক ২৭ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৩ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ২৩ দশমিক ১৪ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৪ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ২৮ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ৩২ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৩২ দশমিক দশমিক ১৮ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৩৩ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট থেকে কমে ৩২ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই ৩৯১ দশমিক ৩০ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৩৯৩ দশমিক ২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।