শেয়ারবাজারে বিমার দাপট চলছেই

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ারবাজারে দাপট দেখিয়েই চলেছে বিমা খাত। গত কয়েক কার্যদিবসের মতো আজ বুধবার শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বিমা খাতের দাপট ছিল একচেটিয়া।

বিমা খাত দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখালেও সার্বিক শেয়ারবাজারে তার খুব একটা প্রভাব পড়ছে না। ফলে প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও কমেছে বাছাই করা সূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

বুধবার (১৭ মে) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসই’র প্রধান সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এ অবস্থায় আজকের লেনদেনের শেষদিকে বিমা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম বাড়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে।

তবে বড় মূলধনের কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যায়। ফলে প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও কমে বাছাই করা সূচক। একই সঙ্গে কমে লেনদেনের গতি। অবশ্য সব খাত মিলিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।

এর মধ্যে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি দাপট দেখিয়েছে বিমা খাত। এ খাতের ৪৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে মাত্র একটির। আর ৪টি বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে।

বিমা খাতের এমন দাপটের দিনে ডিএসইতে ১০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৬টির এবং ১৮৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৫ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

মূল্যসূচক মিশ্র থাকার দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭১১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭৪৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৩২ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২২ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অগ্নি সিস্টেম, প্যারামউন্ট টেক্সটাইল, ইউনিক হোটেল, জেমিনি সি ফুড, ইস্টার্ন হাউজিং এবং চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ২৪৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৩টির এবং ১২২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *