শুকনো মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ৮০ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার

সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে শুকনো মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ৮০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ৩৮০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও তা কমে ৩০০-৩২০ টাকায় নেমেছে। একইভাবে আমদানীকৃত কারেন্ট মরিচের দাম কেজিতে ৭০ টাকা কমে ৪৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৬০-৫০০ টাকা। এদিকে শুকনো মরিচের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নিম্ন আয়ের মানুষের।

হিলি বাজারে শুকনো মরিচ কিনতে আসা জাহাঙ্গির আলম বলেন, কিছুদিন আগে কাঁচামরিচের দাম যেমন ডাবল সেঞ্চুরি পার করেছিল, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শুকনো মরিচের দাম বাড়তে বাড়তে ৪০০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। এতে আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষকে শুকনো মরিচ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। বর্তমানে মসলাপণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় নেমেছে।

হিলি বাজারের শুকনো মরিচ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র দাবদাহের কারণে কাঁচামরিচের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হয়। এতে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে ডাবল সেঞ্চুরি পার করেছিল। ফলে কৃষকরা শুকনো মরিচ না করে ক্ষেত থেকে কাঁচামরিচ তুলে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছিলেন। এতে সরবরাহ কমায় শুকনো মরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গিয়েছিল।

পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন খরচ বাড়ায় দাম বেড়েছিল। তবে কয়েক দিন ধরে আবহাওয়া ভালো থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচামরিচের উৎপাদন বেশ ভালো হয়েছে। এতে বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে কাঁচামরিচের দাম কমেছে। এ কারণে কৃষকরা কাঁচামরিচ বিক্রি কমিয়ে শুকনো মরিচ উৎপাদন বাড়িয়েছেন। এতে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়েছে। শুকনো মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে। একইভাবে দেশীয় শুকনো মরিচের দাম কমায় আমদানীকৃত কারেন্ট মরিচের দামও কমতে শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *