শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঈদ উৎসব!

করোনাভাইরাসের ভয়কে উপেক্ষা করে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। যেন ঈদ উৎসব শুরু হয়েছে। এসব যাত্রীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের কোনো ভয় নেই। গাদাগাদি করে ফেরি ও ট্রলারে পদ্মা পারি দিয়ে তারা কর্মস্থলে ছুটছেন। এতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকলেও গত ১৪ দিন ধরে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে।

রোববার (১০ মে) সকালে শিমুলিয়া ঘাটে মানুষ আর মানুষ দেখা গেছে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর জেলায় বসবাসরত এসব মানুষ ছুটছে কর্মস্থলের দিকে। কিন্তু শিমুলিয়া ঘাটে বাস না থাকায় যানবাহনের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পরস্পরের সঙ্গে ঘেঁষাঘেঁষি করে তারা ছুটছেন যানবাহনের খোঁজে। বাস না পেয়ে পিকআপ ভ্যান, নছিমন, করিমন, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, ইয়েলো ক্যাব, রেন্ট এ কারসহ বন্ধ থাকা উবার ও পাঠাওয়ের শত শত মোটরসাইকেল ও গাড়িতে অফলাইনে তারা ঢাকায় ফিরছেন। এতে যাত্রীদের কয়েকগুণ ভাড়া বেশি গুণতে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ রোজা রেখেও হেঁটে ছুটছেন গন্তব্যের দিকে।

আজ ১৪ তম দিনে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে ঢাকামুখী মানুষের চলাচল আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথমদিকে পোশাককর্মীরা ঢাকামুখী হলেও সরকার মার্কেট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ঢাকা অভিমুখে ছুটতে শুরু করেছে। ঢাকার নিউ মার্কেট সমিতি মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত নিলেও কর্মমুখী মানুষ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ রুট দিয়ে ঢাকায় ছুটছে।

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, আজ সকাল থেকে মানুষের ঢল নেমেছে শিমুলিয়া ঘাটে। তারা ফেরিতে ঘেঁষাঘেঁষি করে কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে এসে নামছেন। এতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকলেও তাদের মধ্যে কোনো ভয় কাজ করছে না। আসলে লোকজন বুঝতে পারছে না করোনা কত মারাত্মক। এই মরণব্যাধিকে পাত্তা না দিয়ে তারা ছুটছে ঢাকার দিকে। ঘাটের অবস্থা দেখলে মনে হয় যেন ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ।

মাওয়া ট্রাফিক জোনের টিআই হিলাল উদ্দিন বলেন, লোকজনের ঢাকা ফেরা বন্ধ হচ্ছে না। প্রতিদিনই শত শত যাত্রী ঢাকার দিকে ছুটছে দক্ষিণবঙ্গ থেকে। আজ মানুষের ঢল যেন আরও বেড়েছে। ফেরির সংখ্যা বাড়লেও মানুষের ঘেঁষাঘেঁষির যেন শেষ নেই। ঘাটে বাস না থাকলেও বিভিন্ন লোকাল পরিবহনে গ্রামের ভেতর দিয়ে ভেঙে ভেঙে ঢাকায় ফিরছে এসব মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *