শিক্ষার অন্যতম উপকরণ কাগজ, প্রিন্টিং প্লেট কালির ওপর অতিরিক্ত কর প্রত্যাহারের আহ্বান : সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ’র

স্টাফ রিপোর্টার

 

 

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং শিল্পের কাঁচামাল কাগজ, পেপার বোর্ড, গ্রাফিক পেপার, প্রিন্টিং প্লেট ও কালির ওপর আরোপিত অতিরিক্ত কর প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং খাতের উদ্যোক্তারা।

বৃহষ্পতিবার (১৬ জুন, ২০২২) এফবিসিসিআইতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। বৈঠকে জানানো হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষার অন্যতম উপকরণ আমদানিকৃত পেপার, পেপার বোর্ড, আর্টকার্ড, আর্টপেপার প্রভৃতির আমদানি শুল্ক ১৫% থেকে বাড়িয়ে ২৫% করা হয়েছে। পাশাপাশি মুদ্রণ শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল প্রিন্টিং প্লেট-এর আমদানি শুল্ক ১% থেকে বাড়িয়ে ১০% করা হয়েছে এবং মুদ্রণ কালির আমদানি শুল্ক ১০% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করা হয়েছে। বাড়তি কর ও শুল্কের কারণে দেশের প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং খাত আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্যাকেজিং খরচ বেড়ে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমবে। পাশাপাশি কাগজের আমদানি শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর।

 

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী। তিনি বলেন, সরকার শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং শিক্ষাকে উন্নয়নের অন্যতম প্রধান কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমন বাস্তবতায় শিক্ষা উপকরণের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করা সমীচিন নয় বলে তিনি মনে করেন।

 

শিক্ষাখাতে নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে এবং প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং খাতের স্বার্থে বৈঠকে পেপার, পেপার বোর্ড, ডুপলেক্স বোর্ড, আর্টকার্ড, আর্ট পেপার, ফোল্ডিং বক্স বোর্ড এর ওপর পূর্বের ন্যায় ১৫% আমদানি শুল্ক পুনর্বহালের পাশাপাশি প্রিন্টিং প্লেটের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক ১% এবং মুদ্রণ কালির আমদানি শুল্ক পূর্বের ন্যায় ১০% পুন:নির্ধারনের আহ্বান জানানো হয়।

 

ব্যবসায়ীরা বলেন, আমদানি শুল্ক কমানো হলে বন্ড অপব্যবহার বন্ধ হবে এবং বৈধ পথে কাগজ আমদানি বৃদ্ধি পাবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। এছাড়াও পাঠ্যবইয়ে ব্যবহৃত কাগজ বিনা শুল্কে আমদানির সুযোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান উদ্যোক্তারা।

 

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও বাংলাদেশ পেপার ইম্পোটার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ভরসা, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক রাব্বানী জব্বার ও হুমায়ুন রশিদ খান পাঠান, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাত ও ভাইস চেয়ারম্যান মোর্শেদ আজম, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি  শ্যামল পাল, ওয়েব প্রিন্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর পরিচালক ওসমান গনি ছাড়াও প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং খাতের অন্যান্য নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *