শিউর সিকিউরিটিজে তদন্ত হচ্ছে, পরিচালকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ মশিউর সিকিউরিটিজের (ট্রেক নং-১৩৪) বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ ছিলো। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ব্রোকারেজ হাউজটির কার্যক্রম তদন্ত করে বিএসইসি। তদন্তে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে প্রায় ৬৯ কোটি টাকার ঘাটতি পাওয়া গেছে।
এ পরিস্থিতি বিবেচনায় অধিকতর তদন্তের স্বার্থে বিএসইসি পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। একইসঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজটির কর্তা ব্যক্তিরা যেন বিদেশ পালিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।
সম্প্রতি বিএসইসির সহকারী পরিচালক অমিত কুমার সাহা সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মশিউর সিকিউরিটিজের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে গত ১৯ আগস্ট ৬৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার ঘাটতি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিএসইসি তদন্ত শুরু করেছে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং সিকিউরিটিজ আত্মসাতের প্রমাণ বেরিয়ে আসার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মশিউর সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), পরিচালকেরা এবং প্রধান নির্বাহী পরিচালক (সিইও) যেনো দেশত্যাগ করতে না পারে, সেলক্ষ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ব্রোকারেজ হাউজটিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন মশিউর রহমান। আর সিইও হিসেবে রয়েছেন এসকে. মোগল জান রহমান।
বিএসইসির গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, উপ-পরিচালক মোহাম্মদ এমদাদুল হক, সহকারী পরিচালক মো. মারুফ হাসান, সহকারী পরিচালক অমিত কুমার সাহা, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ম্যানেজার মোহাম্মদ ইকরাম হোসাইন ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ম্যানেজার শরীফ আলী ইরতেরাজ।
এ ছাড়াও মশিউর সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে- একই ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে বেশ কিছু বিও হিসাব খোলা, একাধিক গ্রাহক সমন্বিত ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করা এবং শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় নির্দেশের স্লিপ সংরক্ষণ না করা উল্লেখযোগ্য।
