শসার যতগুণ

চলছে গ্রীষ্মকাল। গরম বাড়ছে। ঘর্মাক্ত এই দিনে সবসময়ই মন চায় ঠান্ডা কিছু। কিন্তু সেই ঠান্ডা যেন কোনওভাবেই কোল্ড ড্রিঙ্কস না হয়।

খেতে খুবই ভালো লাগলেও এর মধ্যে থাকে প্রচুর চিনি। ফলে শরীরের প্রচন্ড ক্ষতি করে দেয়।

অতিরিক্ত চিনি চর্বি আকারে আপনার পেটের চারপাশে জমতে থাকে। তার পরিবর্তে বরং কিছু স্বাস্থ্যকর বেভারেজের সন্ধান দিচ্ছি যা আপনার ঠান্ডা পানি খাওয়ার ইচ্ছাকে পূর্ণ করবে এবং মেদও বাড়াবে না।

গরমকাল মানেই সব জায়গায় শসা পাওয়া যায়। শসা এমন একটি সবজি যার ৯০ শতাংশ পানি দিয়ে তৈরি। ওজনের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে, কার্ডিওভাস্কুলার রোগ দূরে ঠেলতে, শরীরের থেকে টক্সিন বের করে দিয়ে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে, হজমে সাহায্য করতে, হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায়, রক্তচাপ কমাতে, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে শসার জুড়ি নেই।

কিছু সমীক্ষা দাবি করেছে, কয়েক ধরনের ক্যান্সার রুখতেও শসা যথেষ্ট কার্যকর।

শসা দিয়ে ‘কিউকাম্বার ইনফিউজড ওয়াটার’ বা ‘কিউকাম্বার ডিটক্স ওয়াটার’ তৈরি করে দেখতে পারেন। এটি তৈরি করা যেমন সহজ, তেমনি শরীরের পক্ষে উপকারী। প্রয়োজন শুধুমাত্র কয়েক খন্ড শসা এবং পানি। অথচ এর উপকারিতা অসংখ্য।

এই পানীয়টি শরীর থেকে সব বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে পারে। আপনার অতিরিক্ত খাই খাই ভাবকে বেশ খানিকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

আপনার হজম শক্তিকেও যথেষ্ট সুস্থ সচল রাখতে পারে। সর্বোপরি এই পানীয়টির মধ্যে এক ফোটাও ক্যালোরি নেই। কোন কৃত্রিম মিষ্টিও এতে দেওয়া হয় না।

গরমের মোকাবেলায় এই ধরনের পানীয় শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য খুবই জরুরি। শসার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। ফলে যারা ম্যাঙ্গানিজ ডেফিসিয়েন্সির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যও শসা খুবই উপকারী।

ইচ্ছা হলে এই পানীয়টির মধ্যে শসা ছাড়া অ্যাভোকাডো, সেলেরি, এবং কিছুটা মৌরী ভিজিয়ে রাখতে পারেন। যে কোনও রকম পেটব্যথা বা ব্লটিংয়ের সমস্যায় এই পানীয় ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

তা হলে এই পানীয় দিয়ে পেট থাক চর্বিহীন আর শরীর থাকুক সুস্থ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *