লেনদেনে দুবাই কাস্টমসের নতুন রেকর্ড

স্টাফ রিপোর্টার

গত বছর ৩ কোটি ৪ লাখের বেশি লেনদেন করেছে দুবাই কাস্টমস, যা ২০২২ সালে ছিল ২ কোটি ৫৮ লাখ। সে হিসাবে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধিসহ দুবাই কাস্টমস পরিচালিত সর্বোচ্চ সংখ্যক শুল্ক লেনদেনের নতুন রেকর্ড এটি। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।

এটিকে ২০২২ সালের মার্চে ভারতের সঙ্গে আরব আমিরাতের কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) প্রোগ্রামের সফলতা হিসেবে দেখছেন অনেকে।

দেশটির ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্ট কাস্টমস পরিষেবায় গ্রাহক সন্তুষ্টি অবিশ্বাস্য ৯৮ শতাংশে পৌঁছেছে। দুবাই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের আধুনিক প্রোগ্রাম ও সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৮৪ হাজার শুল্ক লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

দুবাই কাস্টমসের মহাপরিচালক এবং বন্দর কাস্টমস ও ফ্রি জোন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহমেদ মাহবুব মুসাবিহ জানান, কাস্টমসের লক্ষ্য দুবাইয়ের ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং তা শক্তিশালী করা। এ প্রচেষ্টা দুবাইয়ের ইকোনমিক এজেন্ডায় (ডি৩৩) বর্ণিত লক্ষ্যগুলো অর্জনে অবদান রাখবে। গত দশকে বৈদেশিক বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ৩ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে পরবর্তী দশকে পণ্য ও পরিষেবা খাতে ৭ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে।

দুবাইয়ের লক্ষ্য ২০৩৩ সালের মধ্যে বৈদেশিক বাণিজ্যের মানচিত্রে ৪০০ শহরকে যুক্ত করা। লক্ষ্য বাস্তবায়নে দুবাই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে এরই মধ্যে তাদের অংশীজন, গ্রাহক, কূটনৈতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়িক কাউন্সিলের সঙ্গে অসংখ্য বৈঠক করেছে।

বৈঠকগুলোয় মূলত ২০৩১ সালের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের লক্ষ্য এবং দুবাই অর্থনৈতিক এজেন্ডা ডি৩৩-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাণিজ্য বিনিময়ের মান বাড়ানোর কাঠামো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে দুবাইয়ের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করতে ডিজিটাল নানা পদক্ষেপ ও পরিষেবা চালু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

দুবাইয়ের কাস্টমসের ‘‌কার্গো স্ট্যাটাস ট্র্যাকিং’ প্রকল্প তাদের পরিষেবায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা গ্রাহকের আগমন থেকে বহির্গমন পর্যন্ত চালান নিরীক্ষা করে ভোগান্তিমুক্ত অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এছাড়া রিয়েল টাইম তদারকি ও দুবাইয়ের সীমানাজুড়ে কাস্টমস ছাড়পত্র দেয়।

দুবাই কাস্টমসের এ প্রকল্পের লক্ষ্য দক্ষতা বৃদ্ধি, শুল্ক কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের খরচ কমানো এবং ব্যবসায়ীদের বর্ধিত রিটার্ন সুবিধা দেয়া। উদ্যোগটি গ্রাহকের শিপমেন্টের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার সক্ষমতা আনে। এতে আমদানিকারক, কাস্টমস ব্রোকার, শিপিং কোম্পানি ও পরিবহন সংস্থাসহ দুই লাখেরও বেশি গ্রাহককে দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিষেবা দেয়া হয়।

এটি কার্গো ছাড়পত্র প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বাড়ায় উচ্চতর গ্রাহক সন্তুষ্টিতে অবদান রাখে এবং শিপমেন্ট-সংক্রান্ত কল সেন্টারে অনুসন্ধানের বার্ষিক পরিমাণ কমাতে ভূমিকা রাখে। বর্তমানে মোট কল সংখ্যা ৫৫ হাজার।

গত বছরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সফলভাবে ৩ হাজার ৭৪৮টি জব্দ প্রতিবেদন সম্পন্ন করেছে। যার মধ্যে ১ হাজার ৭০৪টি মামলা এবং ২ হাজার ৪৪টি কাস্টমস রিপোর্ট রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *