লংকান চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশের শুরু

এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু হচ্ছে আজ। ১৪তম এ ক্রিকেট আসরে লংকান চ্যালেঞ্জ দিয়েই অভিযানে নামছে মাশরাফি বিন মর্তুজার বাংলাদেশ। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের এ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে। এ গ্রুপের অপর দল আফগানিস্তান। ছয় দেশের এবারের আসরে ‘এ’ গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত, পাকিস্তান ও বাছাইপর্ব থেকে আসা হংকং।

এশিয়া কাপের সর্বশেষ তিন আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যথাক্রমে পাকিস্তান (২০১২), শ্রীলংকা (২০১৪) ও ভারত (২০১৬)। এখন পর্যন্ত এ তিন দেশই এশিয়া কাপের শ্রেষ্ঠত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছে নিজেদের মধ্যে। সাম্প্রতিক সময়ে উপমহাদেশ ক্রিকেটের এ তিন প্রধানের চ্যালেঞ্জার হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলাদেশ। গত তিন আসরের দুটিতেই রানার্সআপ হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছে টাইগাররা। তবে বাংলাদেশ যে দুবার (২০১২ ও ২০১৬) ফাইনাল খেলেছে তা ঘরের মাটিতেই। তাই এবার অ্যাওয়ে চ্যালেঞ্জ টাইগারদের।

দুবাইয়ের কন্ডিশন পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকা এমনকি আফগানদের যতটাই চেনা, ঠিক ততটাই অচেনা বাংলাদেশের জন্য। এখানে দলগতভাবে বাংলাদেশ সর্বশেষ ক্রিকেট খেলেছে ১৯৯৫ সালে। পাশাপাশি দুবাইয়ে নিয়মিতভাবেই ক্রিকেট খেলছে উপমহাদেশের বাকি দলগুলো।

নিজেদের দেশের চেয়েও এখানে বেশি ম্যাচ খেলে পাকিস্তান। তবে ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের কল্যাণে এখানে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম ও মোস্তাফিজুর রহমানদের। এ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সম্বল করে দুবাইয়ে নিয়মিত খেলা দলগুলোর বিপক্ষে কন্ডিশনের বাড়তি পরীক্ষাও দিতে হবে মাশরাফিদের।

সাম্প্রতিক সময়ে লংকানদের সঙ্গে একটা মনস্তাত্ত্বিক লড়াই চলছে বাংলাদেশের। যদিও ঐতিহ্যে-অর্জনে লংকানদের চেয়ে ঢের পেছনে বাংলাদেশ। দুদলের ওয়ানডে দ্বৈরথে শ্রীলংকার ৪৪ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ছয় ম্যাচে। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে দুদলের লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে লংকানরা। দুদলের সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিক লংকানদের সঙ্গে ১-১-এ ড্র করেছে বাংলাদেশ।

বড় দলের মর্যাদা পেতে হলে অ্যাওয়ে চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের। সম্প্রতি বিদেশের মাটিতেও সাফল্যের আলোয় ভেসেছেন মাশরাফি ও তার সহযোদ্ধারা। দুমাস আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের সঙ্গে তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজও জিতেছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপ মিশনে নামার আগে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে জয়ের টাটকা স্বাদ টনিক হিসেবে থাকছে মাশরাফিদের।

এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল সুযোগ পাবে মাত্র দুটি করে ম্যাচ খেলার। প্রতি গ্রুপ থেকে ‘সুপার ফোর’-এ উন্নীত হবে দুটি করে দল। যার অর্থ প্রথম ম্যাচে হারা দলের পক্ষে সেরা চারে জায়গা করে নেয়াটা পড়বে চরম অনিশ্চয়তার মুখে। আর তাই ভালো শুরুর ওপর জোর দিচ্ছেন মাশরাফি। তার ভাষায়, ‘আমরা ভালোভাবে শুরু করতে চাই। এর জন্য আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *