রেমিট্যান্স পাঠাতে চার্জ লাগবে না প্রবাসীদের এখন থেকে

স্টাফ রিপোর্টার

এখন থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে আর চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের। একই সঙ্গে বিদেশে ছুটির দিনেও রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন তারা। চলমান ডলার সংকটে বৈধভাবে রেমিট্যান্স বাড়াতে এসব উদ্যোগ নিয়েছে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদা।

রোববার (৬ নভেম্বর,২০২ ২) সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এবিবি ও বাফেদার বৈঠক শেষে সোনালী ব্যাংকের এমডি ও বাফেদার চেয়ারম্যান আফজাল করিম এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বৈঠক শেষে বাফেদার চেয়ারম্যান আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) ধারাবাহিক বৈঠকের মতই আমাদের আজকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত মতে, এখন থেকে ব্যাংকগুলো ১০৭ টাকায় রেমিট্যান্স এবং ১০০ টাকায় রপ্তানি আয় সংগ্রহ করবে। পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে মওকুফ করা হয়েছে রেমিট্যান্স পাঠানোর চার্জ বা কমিশন ফি। কোনো ধরনের খরচ ছাড়া আগামীকাল সোমবার (৭ নভেম্বর) থেকে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন।

একই সঙ্গে ছুটির দিনগুলোতেও এখন রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন প্রবাসীরা। কারণ ছুটির দিনও এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে।

এর আগে ডলার সংকট নিরসনে গত ২৩ অক্টোবর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের বিপরীতে ডলার কেনার সর্বোচ্চ দর ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৭ টাকা করা হয়। আর রপ্তানি বিল ৫০ পয়সা বাড়িয়ে করা হয় ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা। যা গত ২৬ সেপ্টেম্বর এক সভায় ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা প্রবাসী আয়ে এবং রপ্তানি আয়ে নির্ধারণ করা হয় ৯৯ টাকা।

এছাড়া গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রথম ব্যাংকারদের সভায় এক্সপোর্ট প্রসিডে ৯৯ টাকা ও রেমিট্যান্সের ডলার ১০৮ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার চরম সংকটের এ সময়ে বৈধ পথে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোও তৎপরতা বাড়িয়েছে। তবে কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। হুন্ডির কবলে পড়ে প্রবাসী আয় ধারাবাহিকভাবে কমছে।

অক্টোবরে রেমিট্যান্স কমে ১৫৩ কোটি ডলারের নিচে নেমেছে, যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে গড়ে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল। গত সেপ্টেম্বরে কমে তা ১৫৪ কোটি ডলারে নামে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *