রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স জানুয়ারিতে

সুবাতাস বইছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আহরণে। নতুন বছরের (২০১৯) প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা এক মাসের হিসেবে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০১৪ সালের জুলাইয়ে, ১৪৯ কোটি ২৪ লাখ ডলার।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, হুন্ডি প্রতিরোধে কড়াকড়ি ও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও সরকার বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া ডলারের বিপরীতে বেশি টাকা পাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। ফলে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্য সমাপ্ত ২০১৮ সালে ব্যাংকিং চ্যানেলে এক হাজার ৫৫৭ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০৪ কোটি ডলার বা প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০১৭ সালে এসেছিল এক হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার। এর আগের বছর ২০১৬ সালে ছিল এক হাজার ৩৬১ কোটি ডলার। ২০১৫ সালে এসেছে এক হাজার ৫৩১ কোটি ডলার।২০১৪ সালে রেমিট্যান্স এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ৪৯২ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারিতে ১৫৯ কোটি ৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রেমিট্যান্স এসেছে ৯০৮ কোটি ৬১ লাখ ডলার। যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৮৩১ কোটি ২১ লাখ ডলার। এ হিসাবে সাত মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।

প্রতিবেদনের তথ্য মতে, জানুয়ারিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৪ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে মাত্র এক কোটি ৭৪ লাখ ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১২১ কোটি ৫৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ১২ লাখ ডলার।

রেমিট্যান্সের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত চার বছরের মধ্যে দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। এ সময় রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছর প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার।

এছাড়া সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছর এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *