রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে ভিয়েতনাম ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য
২০২১ সালে কভিড-১৯-এর নতুন নতুন ধরনের প্রাদুর্ভাব হয়। ফলে বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। তবে প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ভিয়েতনাম ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। তথ্য বলছে, গত বছর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার কোটি ডলার। খবর ভিয়েতনাম টাইমস।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভিয়েতনাম দূতাবাসের মন্ত্রিপরিষদ ও ভিয়েতনামিজ ট্রেড অফিসের প্রধান বুই হু সান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ভিয়েতনামের রফতানি বেড়েছে। রফতানি প্রবৃদ্ধি ২৪ শতাংশেরও বেশি বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ভিয়েতনামে মার্কিন পণ্যের আমদানিও বেড়েছে। তথ্য বলছে, মার্কিন পণ্যের আমদানি প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে। সব মিলিয়ে গত বছর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার কোটি ডলার। সম্প্রতি বুই হু সান বলেন, দুই দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক ফল ছিল গত বছর।
হু সান আরো জানান, ভিয়েতনাম প্রধানত ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম, বস্ত্র, জুতা, খামারজাত পণ্য, সামুদ্রিক খাদ্যদ্রব্য যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করে থাকে। দেশটি থেকে আমদানি করে তুলা, কাঠসহ ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামাল, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের ফল ইত্যাদি। মহামারীর প্রাদুর্ভাবে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ফলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এর মধ্যেও দুই দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন বাড়ায় বাণিজ্যিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত বছরের প্রারম্ভে ভিয়েতনামের বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণ নীতি তদন্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে দুই দেশের বাণিজ্যে ধীরগতি দেখা যায়। তবে সে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠেও ভিয়েতনাম-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য রেকর্ড গড়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যমতে, মার্কিন তদন্ত শেষে নতুন করে কোনো শুল্ক আরোপ করা হয়নি ভিয়েতনামের ওপর।
বুই হু সান আশা করছেন, ২০২২ সালে দুই দেশের অর্থনীতিতেই পুনরুদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এর মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যও বাড়বে দুই দেশের। তবে এর সঙ্গে আসন্ন চ্যালেঞ্জের কথাও জানান তিনি। কভিড-১৯ মহামারী নিয়ে অনিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ মূল্যস্ফীতির হার ও বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় অন্যান্য দেশের অর্থনীতির ভূমিকাও এ বছর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে প্রভাব ফেলতে পারে।
এ বিষয়ে হু সান বলেন, নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে দুই দেশের মাঝে যোগাযোগ রক্ষা, তথ্য বিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়া জরুরি। তিনি আরো জানান, বাজার ব্যবস্থা আরো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা দরকার ব্যবসাগুলোর। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সুযোগ নিয়ে ভিয়েতনামের বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আইন মেনে ব্যবসা করার ওপর জোর দেন তিনি।