রেকর্ড দামে ডলার বিক্রি খোলাবাজারে

স্টাফ রিপোর্টার

দেশের বাজারে ডলার সংকট কাটছেই না। সংকট কাটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরও সংকটের সুযোগ নিয়ে ইচ্ছেমতো দামে খোলাবাজারে ডলার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার (২৫ জুলাই, ২০২২) খোলাবাজারে এক ডলার কিনতে খরচ হয়েছিল ১০৪ থেকে ১০৫ টাকা। একদিনের ব্যবধানে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই, ২০২২) ডলারপ্রতি রেকর্ড ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়ে তা ১১০ থেকে ১১১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট করতে হয়। তবে খোলাবাজার থেকে কিনতে এর প্রয়োজন নেই। এ কারণে খোলাবাজারের ডলারের চাহিদা থাকে বেশি। মঙ্গলবার মতিঝিল এলাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে প্রতি ডলার ১১০ থেকে ১১১ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অথচ একদিন আগেও এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতি ডলার ১০৫ টাকায় বিক্রি হয়।

তবে মঙ্গলবার আন্তঃব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলার বিক্রি হয় ৯৪ টাকা ৬৮ পয়সায়।

ডলার ব্যবসায়ী ইসমাইল হক বলেন, ডলারের দাম উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরপরই দাম বাড়তে শুরু করে। তবে দাম যাই হোক, চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ডলার কিন্তু নেই। এ কারণে প্রতিদিন দাম বাড়ছে। ডলার সংকট কেটে গেলে দামও কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

দেশে প্রতিদিনই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। এর প্রভাব পড়েছে খোলাবাজারে। ফলে খোলাবাজারে ডলারের এক প্রকার সংকট তৈরি হয়েছে। যদিও বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। তবে এরই মধ্যে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে সুবাতাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

ঈদের মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬৪ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি। গড়ে প্রতিদিন ৭ কোটি ২৪ লাখ ৫৮ হাজার কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে।

সদ্য বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা তার আগের অর্থবছরের (২০২০-২০২১) চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের সবশেষ মাস জুনে ১৮৩ কোটি ৭২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এটি তার আগের মাস মে অপেক্ষা ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার কম। চলতি বছরের মে মাসে দেশের প্রবাসী আয় এসেছিল ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *