রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ জিতলো শ্রীলঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার

৩০ বছর পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে ওয়ানডে সিরিজে হারালো শ্রীলঙ্কা। সেই জয়টাও আবার এসেছে শেষ ওভারে। রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ের পর অসিদের ৪ রানে হারিয়েছে লঙ্কানরা।

কলম্বোতে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯ ওভারে ২৫৮ রানে অলআউট হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। জবাবে পুরো ৫০ ওভার খেলে ২৫৪ রানে থামে অ্যারন ফিঞ্চের দল।

এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে লঙ্কানরা। সর্বশেষ তারা ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ১৯৯২ সালে।

মঙ্গলবার রাতে ২৫৯ রান তাড়া করতে নেমে এক ডেভিড ওয়ার্নার ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটার তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ওয়ার্নারের একক লড়াইও শেষ হয়েছে আক্ষেপ নিয়ে। মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি ছুঁতে পারেননি অসি ওপেনার।

১১২ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ৯৯ রান করে ওয়ার্নার যখন ধনঞ্জয়া ডি সিলভার শিকার হন, অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৭ উইকেটে ১৯২। সেখান থেকে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন লোয়ার অর্ডারের প্যাট কামিন্স, ম্যাথিউ কুনেমানরা।

কামিন্স ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে চামিকা করুনারত্নের বলে আউট হন ৪৩ বলে ৩৫ করে। শেষ উইকেটে প্রায় জয়ের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল অসিরা। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৯ রান। শানাকার ওভারে প্রথম পাঁচ বলে ৩ বাউন্ডারিসহ ১৪ রান নেন কুনেমান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ বলে তার উইকেটটি (১৫) তুলে নেন লঙ্কান অধিনায়ক।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ রানের মধ্যে শ্রীলঙ্কা হারিয়ে বসেছিল তিন টপঅর্ডার ব্যাটার-নিরোশান ডিকভেলা (১), কুশল মেন্ডিস (১৪) আর পাথুম নিশাঙ্কাকে (১৩)। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পাওয়া চারিথ আসারাঙ্কা।

চতুর্থ উইকেটে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে ১০১ রানের জুটি গড়েন আসালাঙ্কা। ধনঞ্জয়া ৬১ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬০ রানের ইনিংস খেলে ২৭তম ওভারে ফিরলেও বাকি সময় দলকে টেনে নিয়েছেন আসালাঙ্কা। ইনিংসের ১৪ বল বাকি থাকতে অবশেষে প্যাট কামিন্সের শিকার হন তিনি।

বাঁহাতি এই ব্যাটারের ১০৬ বলে গড়া ১১০ রানের ইনিংসে ছিল ১০টি চার আর একটি ছক্কার মার। শেষদিকে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা করেন ২০ বলে অপরাজিত ২১।

অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন প্যাট কামিন্স, ম্যাথিউ কুনেমান আর মিচেল মার্শ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *