রাশিয়ার কাছে ইউরোপের বাজার হারাচ্ছে ভেনিজুয়েলা

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপে ভেনিজুয়েলার সালফারযুক্ত জ্বালানি তেল রফতানি কমেছে। এ অবস্থায় চাহিদা মেটাতে বিকল্প হিসেবে রাশিয়া থেকে এ জ্বালানি তেল সংগ্রহ করছেন ইউরোপের তেল ব্যবসায়ীরা। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সালফারযুক্ত রুশ জ্বালানি তেলের দাম ক্রমে ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। খবর অয়েলপ্রাইস ডটকম।

ট্রেডিং ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন সূত্রের উল্লেখ করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিসভুক্ত (ওপেক) সদস্যদের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী তাদের উৎপাদন কমাতে হবে। ওপেকের এ চুক্তিও বাজারে তেল সরবরাহ পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়ার আরেকটি কারণ।

যুক্তরাষ্ট্র হয়তো এক্ষেত্রে একটি বিকল্প হতে পারত। কিন্তু দেশটিতে উৎপাদিত জ্বালানি তেল অপেক্ষাকৃত হালকা হওয়ার কারণে তা ক্রয় করতে পারছেন না ইউরোপের ব্যবসায়ীরা। কারণ ইউরোপের রিফাইনারিগুলো মূলত ভারী ধরনের জ্বালানি পরিশোধনে সক্ষম।

বিশ্বব্যাপী ভারী ও সালফারযুক্ত জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমে আসছে। প্রতিবেদনটি এরই সাম্প্রতিকতম সংকেতবাণী। সালফারযুক্ত জ্বালানি ভেনিজুয়েলার অন্যতম প্রধান ক্রুড অয়েল এবং অনেক রিফাইনারিতে তা জ্বালানিসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদনে ব্যবহার হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানিয়েছে, ‘যেকোনো সময় সালফারযুক্ত জ্বালানির দাম কমার কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না।’

এদিকে ইরান অতি হালকা জ্বালানি তেলের পাশাপাশি সালফারযুক্ত তেলও উৎপাদন করে থাকে। এখান থেকেও তা রফতানি করতে পারত ইউরোপের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপের জন্য আমদানির এ পথও আপাতত বন্ধ।

রয়টার্সে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বাজার দৈনিক আট লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভেনিজুয়েলা ও ইরান আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের অন্যতম সরবরাহকারী। কিন্তু এ দেশ দুটির ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে এখান থেকে জ্বালানি ক্রয় দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে রাশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু উৎপাদনকারী, কানাডা ও মেক্সিকোর মতো হাতে গোনা কয়েকটি দেশ রয়েছে; যারা সালফারযুক্ত জ্বালানি তেল উৎপাদন করে থাকে। ফলে তেলের বিকল্প উেসর সন্ধানে রিফাইনারিগুলোকে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *