রাশিয়াকে ‘চমকে দিতে’ চায় কিয়েভ

স্টাফ রিপোর্টার

পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্রসহায়তা করবে এমনটা ইঙ্গিত করে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেস্কি রেজনিকভ বলেছেন, আমি সামরিক সরঞ্জামগুলো নিয়ে মন্তব্য করছি না। এটা খুবই নাজুক সময়। শত্রুদের জন্য তা চমক হিসেবে রাখি।

তার এ বক্তব্যে ইউক্রেন মিত্রদেশগুলো থেকে সামরিক সহায়তা পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি খোলাসা করেননি ওলেস্কি রেজনিকভ। তিনি বলেন, জেনে রাখুন, উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

সোমবার (৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।

ইউক্রেন ৫০ হাজারের বেশি হেলমেট ও সুরক্ষা জ্যাকেট কিনেছে বলেও জানান ওলেস্কি রেজনিকভ। এর মধ্যে পশ্চিমা জোট ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর জন্য তৈরি করা ইউনিফর্মও রয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর প্রথমবারের মতো দেশ দুটির লড়াই থামাতে মধ্যস্থতা করার ইঙ্গিত দিয়েছে বেইজিং। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, শান্তি আলোচনার জন্য গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে এবং প্রয়োজনে মধ্যস্থতা করতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, চীনের রেড ক্রস ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা দেবে। সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, চীনের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্ব ‘পাথরের মতো শক্ত’। তিনি উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার পরিধি আরও বিস্তৃত।

অন্যদিকে, মানবিক করিডোর চালু করে রাশিয়া বা বেলারুশ সীমান্তে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব ‘সম্পূর্ণ অনৈতিক’ বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইউক্রেনের নাগরিকদের নিজ ভূখণ্ড দিয়ে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই মুখপাত্র এক লিখিত বার্তায় বলেন, এটি সম্পূর্ণ অনৈতিক গল্প। কাঙ্ক্ষিত ছবি পেতে জনগণের আবেগ আর কষ্টকে কাজে লাগানো হয়।

ইউক্রেনে হামলার প্রায় দুই সপ্তাহ পর চারটি শহরে সাময়িক অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। একই সঙ্গে এসব শহরে মানবিক করিডোর চালু করারও ঘোষণা দেওয়া হয়। এই চারটি শহর হলো রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, মারিউপোল ও সুমি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *