রপ্তানি অব্যাহত রাখার স্বার্থে পোশাক শিল্পের কার্যক্রম সহজীকরণের উপর গুরুত্বারোপ
রোববার (১৩ মার্চ, ২০২২) খুলশীস্থ বিজিএমইএ ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক রপ্তানি, বন্ড ও আইটি) হোসেন আহমেদ-এর সাথে বিজিএমইএ’র নেতৃবৃন্দের এক মত-বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম, এমডি. এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, এএম শফিউল করিম (খোকন), মোঃ হাসান (জ্যাকী), এম. আহসানুল হক, মিরাজ-ই-মোস্তফা কায়সার, প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), প্রাক্তন সহ-সভাপতি সর্বজনাব মোহাম্মদ ফেরদৌস, এএম চৌধুরী সেলিম, প্রাক্তন পরিচালক ও কাস্টমস বন্ড বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী চৌধুরী, প্রাক্তন পরিচালক ও কাস্টমস সী বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অঞ্জন শেখর দাশ, প্রাক্তন পরিচালক সাইফ উল্লাহ মনসুর, আমজাদ হোসেন চৌধুরী সহ পোশাক শিল্পের মালিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমীর মহা-পরিচালক মোঃ মাহাবুবুজ্জামান, কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রামের কমিশনার মোঃ ফখরুল আলম, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, চট্টগ্রাম এর কমিশনার একেএম মাহাবুবুর রহমান, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রাম-এর কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বর্তমানে রপ্তানি আদেশ ক্রমন্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, কাস্টমস্, বন্ড সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। রপ্তানির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার স্বার্থে কাস্টমস বন্ড সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সহজীকরণে বিজিএমইএ’র প্রস্তাবনাসমূহ যেমন- বন্ড লাইসেন্সে নতুন কাচাঁমাল ও আনুসাঙ্গিক দ্রব্যাদির নাম সহ নতুন ঐঝ ঈড়ফব দ্রুত সংযোজন, অডিট কার্যক্রম সহজীকরণ পূর্বক দ্রুত অনুমোদন, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের আমদানীকৃত পণ্য সংরক্ষনের জন্য অতিরিক্ত গুদাম অনুমোদন, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের কারখানার সমগ্র এলাকাকে বন্ডেড এলাকা হিসাবে ঘোষণা, কারখানা স্থানান্তর অনুমোদনে কার্যক্রম সহজীকরণ, ইপিজেডস্থ প্রতিষ্ঠানের সাথে ইন্টার বন্ড ট্রান্সফার অনুমোদনের ক্ষমতা বিজিএমইএ’কে প্রদান, জাল-জালিয়াতি রোধে পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্টদের তালিকা এ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতিতে সংযোজন, স্থানীয় বাজার হতে নগদ মূল্যে ক্রয়কৃত কাপড়, সূতা ও এক্সেসরিজের ক্ষেত্রে অডিটকালে মূসক আদায় বন্ধকরণ ইত্যাদি বিষয়ে প্রয়োজনীয় ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধ জানান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক রপ্তানি, বন্ড ও আইটি) হোসেন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বন্ডের কার্যক্রম সহজীকরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ইতিমধ্যে বন্ড অটোমেশন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পোশাক শিল্পে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার স্বার্থে কাস্টমস বন্ড সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনে কার্যক্রম সহজীকরণের বিকল্প নেই। এ ’লক্ষ্যে বিজিএমইএ’র প্রস্তাবনাসমূহ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটসমূহ সংশ্লিষ্ট ষ্টেইট হোল্ডারদের সমন্বয়ে ওয়ার্কিং কমিটি গঠন পূর্বক পোশাক শিল্পের বন্ড সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সহজীকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি প্রয়াত বিজিএমইএ’র প্রাক্তন পরিচালক ও প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নাসির উদ্দিনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনের বিষয়ে আরো বক্তব্য রাখেন- বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি ও বিজিএমইএ’র পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম, প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), কাস্টমস-এর পক্ষে কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমীর মহা-পরিচালক মোঃ মাহাবুবুজ্জামান, কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রামের কমিশনার মোঃ ফখরুল আলম, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, চট্টগ্রাম-এর কমিশনার একেএম মাহাবুবুর রহমান, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রাম-এর কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন।
সভার শুরুতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক রপ্তানি, বন্ড ও আইটি) হোসেন আহমেদ সহ অন্যান্য কমিশনারদেরকে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে ফুল ও ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মানিত করা হয়।