যে কোনো সময় সন্দেহ হলে সরকারি চাকরিজীবীদের মাদক পরীক্ষা: নাম বদলাচ্ছে ডোপ টেস্টের

স্টাফ রিপোর্টার

ডোপ টেস্টের (মাদকাসক্ত শনাক্তকরণ পরীক্ষা) নাম বদলে হচ্ছে ‘ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট।‘ একই সঙ্গে শুধু চাকরিতে প্রবেশের সময় নয়, সন্দেহ হলে যে কোনো সময় সরকারি চাকরিজীবীদের ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট করা হবে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর ২০২৩) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এর আগে সিদ্ধান্ত ছিল চাকরিতে (প্রবেশের সময়) ডোপ টেস্ট হবে। তবে, একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে, ৭২ ঘণ্টা পরে এটা পরীক্ষা করলে (মাদকাসক্ত কি না) বোঝা যায় না। সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে চাকরিরত যারা আছেন, সন্দেহজনক হলে যে কোনো সময় ডোপ টেস্ট করা হবে। টেস্টের নামটিও পরিবর্তন করা হচ্ছে। ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট নাম দেওয়া হবে। এজন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে।‘

মন্ত্রী বলেন, ‘এখন নির্বাচনের সময়, পত্রপত্রিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বাইরে থেকে অস্ত্র আসতে পারে। সেজন্য বিজিবিসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

`আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, হুন্ডি ব্যবসা এটার কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এ ব্যবসা বন্ধ করার জন্য আরও তৎপর হওয়া এবং কীভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে আমরা বলেছি। জুয়ার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। পত্রপত্রিকায় যেসব তথ্য এসেছে, সেই আলোকে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।‘

অল্প সংখ্যক এনজিওকে দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় তাদের যে কর্মকাণ্ড সেটি খুব উদ্বেগের বিষয়। রোহিঙ্গাদের কিন্তু মিয়ানমার নিতে আগ্রহী ছিল, আমরা পাঠাতে রাজি হয়েছি। বিদেশিরাও কিছুটা কনভিন্স (বোঝানো) করেছে। যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে কিছু এনজিও আছে তারা নিরুৎসাহিত করছে, গুজব রটায় যে সেখানে গেলে নিগৃহীত হবে, আবার নির্যাতন করা হবে। এ অপপ্রচারের কারণে ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে নেগেটিভ হয়েছে। গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

বিদেশে থেকে সাইবার ক্রাইম করছে, তা বন্ধ করা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে মিথ্যাচার ও গুজব রটানো হচ্ছে। এনটিএমসিকে আরও সক্রিয় হয়ে গুজবের পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। সত্যি ঘটনা তুলে ধরে প্রচার করতে বলা হয়েছে।’

`দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত যেটা সঠিকভাবে এখনো কার্যকর হয়নি। সরকারি সংস্থাগুলো যাতে এগুলো মনিটর করে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা উৎপাদন করছে তারা কিন্তু যে দাম পায়, ভোক্তারা যে দামে তা কিনছে এরমধ্যে কেন অনেক তারতম্য। মাঝে যাতের কারণে দাম বাড়ছে এদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার জন্য গুদামজাত করে রাখে, সেসব ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’ বলেন মোজাম্মেল হক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *