যে কারণে ঊর্ধ্বমুখী ধাতুর বাজার
বাণিজ্য বিবাদ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ঐকমত্যের খবরে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে শিল্প ধাতুর বাজার। গত সোমবার সিসা ছাড়া বাকি সব ধাতুরই দাম বেড়েছে। এর মধ্যে তামার দাম বেড়ে দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে যায়। খবর রয়টার্স।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) তামার দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। দিন শেষে পণ্যটির দাম টনপ্রতি ৬ হাজার ২৯৫ ডলারে স্থির হয়। এদিন লেনদেনের একপর্যায়ে পণ্যটির দাম ৬ হাজার ৩৫২ ডলারে পৌঁছে যায়, যা গত ৪ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ।
চীন ব্যবহারিক ধাতুর শীর্ষ ভোক্তা। দেশটিতে এসব পণ্যের ব্যবহার বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় অর্ধেক। কয়েক মাস ধরে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ধাতুর বাজারে মন্দাভাব বিরাজ করছিল। তবে সম্প্রতি আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে অংশ নিতে গিয়ে উভয় দেশের প্রেসিডেন্ট বাণিজ্যযুদ্ধ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখতে সম্মত হন। এ খবর প্রকাশের পরই ধাতুর বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
এলএমইতে অন্যান্য ধাতুর মধ্যে অ্যালুমিনিয়ামের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। দিন শেষে পণ্যটির দাম টনপ্রতি ১ হাজার ৯৭৪ ডলারে স্থির হয়। সিসার দাম কমেছে দশমিক ৩ শতাংশ। দিন শেষে পণ্যটির দাম টনপ্রতি ১ হাজার ৯৬৪ দশমিক ৫ ডলারে স্থির হয়। টিনের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। দিন শেষে পণ্যটির দাম টনপ্রতি ১৮ হাজার ৮৬৫ ডলারে স্থির হয়। নিকেলের দাম বেড়েছে দশমিক ৫ শতাংশ। দিন শেষে পণ্যটির দাম টনপ্রতি ১১ হাজার ২৫০ ডলারে স্থির হয়।
তিন মাস মেয়াদি দস্তার দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। দিন শেষে পণ্যটির দাম ২ হাজার ৫৮৩ ডলারে স্থির হয়। এলএমই অনুমোদিত গুদামে দস্তার মজুদ কমতে থাকায় পণ্যটির সরবরাহ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এ কারণেই মূলত পণ্যটির দাম বাড়ছে। আগস্টের পর থেকে এসব গুদামে পণ্যটির মজুদ প্রায় অর্ধেকের বেশি কমে ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৫ টনে নেমে এসেছে, যা ২০০৮ সালের পর সর্বনিম্ন।
সরবরাহ নিয়ে সংশয়ে গত শুক্রবার তিন মাস মেয়াদি দস্তার সঙ্গে পণ্যটির নগদ লেনদেনের দামের পার্থক্য বেড়ে টনপ্রতি ১১৩ ডলারে উন্নীত হয়, যা ১৯৯৭ সালের পর সর্বোচ্চ। সর্বশেষ এ পার্থক্য দাঁড়িয়েছে ৮৭ ডলারে।