যে আমলে হায়াত বাড়ে

আল্লাহ তাআলা কুরআন হাদিসে মানুষের অনেক কল্যাণের উপদেশ দিয়েছেন। কুরআনের বর্ণনায় কোনো মানুষ যদি বেশি বেশি ইসতেগফার করে তবে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার অভাব মুছে রিজিকে বরকত দেন আবার যাদের সন্তান-সন্ততি নেই তাদের সন্তান দেন। এভাবে মানুষের কাঙ্ক্ষিত চাহিদাগুলো মিটিয়ে দেন। এ সম্পর্কে হাদিসেরও অনেক বর্ণনা রয়েছে।

দৈনন্দিন জীবনের এমন অনেক সহজ কাজ ও আমল আছে যেগুলো যথাযথ পালনে রয়েছে অনেক উপকারিতা। এর মধ্যে উত্তম রিজিক ও নেক হায়াত বেড়ে যাওয়াও একটি।

এ হায়াত ও রিজিক বাড়াতে কোনো দোয়া বা অজিফা পালন করতে হবে না। বিশ্বনবি ঘোষণা করেছেন দৈনন্দিন জীবনে ওঠা-বসা, চলাফেরায়, দেখা-সাক্ষাতে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কিংবা তাদের পারস্পরিক খোঁজ খবর রাখলেই বান্দার রিজিক বেড়ে যাবে এবং বাড়বে নেক হায়াত। হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে লোক তার রিজিক প্রশস্ত ও আয়ু বাড়াতে চায় সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’ (বুখারি)

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা, নিজের ভাই-বোন, চাচা-মামা, খালা-ফুফী ও নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা আল্লাহর নির্দেশ। আর তাদের সঙ্গে সুন্দরভাবে কথা বলা। তাদের কুশলাদি জিজ্ঞাসা করা। তাদের সঙ্গে আন্তরিক হওয়া। তাদের প্রতি দয়া-মায়া দেখানোই হলো আত্মীয় সে সুসম্পর্ক। যে ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

তাছাড়া আত্মীয়-স্বজন ও মেহমানরা প্রত্যেকের জন্য আল্লাহ তাআলার রহমত নিয়ে আসে। তাদের প্রতি মনোকষ্ট বা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ কোনোভাবেই ঠিক নয়।

রিজিক ও হায়াত বাড়াতে আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর নেয়া ও তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা একেবারেই সহজ কাজ। যা পালনে দুনিয়া ও পারকালের কোনো ক্ষতি নেই। বরং দুনিয়ায় রয়েছে যেমন উপকার। আর এ উপকার পরকালেও অবধারিত।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রেখে, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলার মাধ্যমে নিজেদের রিজিকের প্রশস্ততা ও নেক হায়াত বাড়াতে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *