যেভাবে পোষ্য কুমীর খেয়ে ফেলল গবেষককে

পোষা কুমীরই কামড়ে খেয়ে ফেলল তার মালিককে। ইন্দোনেশিয়ার সুলভেসি দ্বীপে এক বৃহদাকার পোষা কুমীর ইন্দোনেশিয়ান এক মহিলাকে অর্ধেকেরও বেশি কামড়ে খেয়ে ফেলেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার ১৪ ফুট লম্বা এই সরীসৃপের কামড়ে উত্তর সুলভেসির মিনাহাসার একটি মুক্তা খামারের গবেষণাগারের প্রধান ডেসি তুউও’র মৃত্যু হয়। স্থানীয় বণ্য প্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার সদস্য হেড্রিক রান্ডেঙ্গান এএফপিকে জানান, ৪৪ বছর বয়সী ওই গবেষকের দেহের অংশ তার সহকর্মীরা পরের দিন সকালে দেখতে পান।

তিনি বলেন, ‘বোঝা যাচ্ছে যে এই মহিলা কুমীরের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি এখনও পুলিশ তদন্ত করছে। মেরি নামের ওই পোষা কুমীর ওই মহিলার একটি হাত এবং তার পেটের বেশিরভাগ অংশই খেয়ে ফেলেছে। রান্ডেঙ্গান বলেন, ‘শরীরের ওই অংশ এখনও কুমীরের ভিতরে থাকতে পারে।’

দৈত্যাকার ওই কুমীরকে সোমবার তিন ঘণ্টার অপারেশন চালিয়ে ওই এলাকা থেকে সরানো হয়েছিল। এই অপারেশনে যুক্ত হয়েছিলেন সংরক্ষণ কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ অনেক মানুষ। রান্ডেঙ্গান বলেন, অবৈধভাবে ব্যক্তিগত মালিকানায় রাখা হয়েছিল সরীসৃপটিকে। তাকে সংরক্ষিত এলাকায় স্থানান্তরিত করা হবে।

ইন্দোনেশিয়ান এই দ্বীপপুঞ্জে বন্যপ্রাণিদের বিপুল বৈচিত্র্য চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে কুমীরের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে যা নিয়মিত আক্রমণ করে এবং মানুষকে হত্যা করে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে এই দ্বীপপুঞ্জের পূর্ব দিকের একটি জনপ্রিয় ডাইভিং স্থান রাজা আমপাট দ্বীপপুঞ্জের একটি কুমির দ্বারা এক রাশিয়ান পর্যটক নিহত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *