মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতার বাইরে ৬০ শতাংশ মানুষ

এখনও মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছতে পারেনি ব্যাংকিং সেবা। দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ এ সুবিধার আওতার বাইরে। নারীদের ক্ষেত্রে এটি ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত।

তবে আশার কথা হচ্ছে, ব্যাংক ব্যবস্থা সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে পৌঁছাতে না পারলেও মোবাইল ব্যাংকিং পৌঁছে গেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং সব শ্রেণির মানুষের কাছে।

কারণ বিশ্বে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৮ শতাংশই হচ্ছে বাংলাদেশি। এর সুফলও মিলছে। গ্রাহকরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবায় যুক্ত হচ্ছেন। দেশে এমন লোকের সংখ্যা সাড়ে ৬ কোটি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসের অক্টোবর শেষে মোবাইল ব্যাংক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৫০ লাখ। প্রতিদিন গড়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয় ১ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, সুবিধাবঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালুর অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এ সেবা দিচ্ছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রথম এ সেবা চালু করলেও এখন সবচেয়ে এগিয়ে আছে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ।

এখন পর্যন্ত ২৮টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অনুমতি নিলেও চালু করেছে ২০টি ব্যাংক। এসব ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা থাকলেও মোট লেনদেনের ৫৫ শতাংশ হয় বিকাশের মাধ্যমে। আর ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের রকেটে ৩৮ শতাংশ এবং অন্যান্য ব্যাংকের সর্বমোট সাত শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালুর অনুমতি দিলেও পরের বছর এ বিষয়ে একটি নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়ম অনুযায়ী শুধু মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট রয়েছে এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ মাধ্যমে লেনদেন করার কথা। তবে অনেক এজেন্ট নিয়ম না মানায় তাদের এজেন্টশিপ বাতিল করা হয়েছে। সঠিক পরিচিতি না থাকায় বেশ কিছু অ্যাকাউন্টও বন্ধ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *