মোটরসাইকেলের জন্য পৃথক শিল্পপার্ক !

দেশের উদীয়মান মোটরসাইকেল শিল্পের টেকসই বিকাশের লক্ষ্যে একটি পৃথক মোটরসাইকেল শিল্পপার্ক স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএএমএ) নেতারা। সরকারের ধারাবাহিক পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা গেলে পাঁচ বছরের মধ্যে এ খাত বিলিয়ন ডলারের শিল্পে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।

গতকাল বিএমএএমএ নেতারা শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠক করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ ও এএসএম ইমদাদুদ দস্তগীর, বিএমএএমএর সভাপতি ও উত্তরা মোটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউশিরো ইশি, অর্থ বিভাগের প্রধান আশিকুর রহমান, টিভিএস অটো বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার রায়, রাসেল ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক শামসুল বাসার, আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন মিয়া, স্পিডোজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহদাদুর রহমান, এসিআই মোটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে মোটরসাইকেল শিল্পের উদ্যোক্তারা বলেন, বাংলাদেশে পাঁচটির বেশি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারিং শুরু করেছে। ফলে দেশে মোটরসাইকেলের মূল্য প্রায় ৫০ শতাংশ কমে এসেছে। ছয় মাসের মধ্যে কমপক্ষে আরো চারটি প্রতিষ্ঠান মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারিং শুরু করবে বলে জানান তারা।

‘জাতীয় মোটরসাইকেল শিল্প উন্নয়ন নীতি-২০১৮’ প্রণয়নের জন্য শিল্পমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএমএএমএ নেতারা বৈঠকে বলেন, এ নীতি প্রণয়নের ফলে মোটরসাইকেল শিল্প দেশের উদীয়মান খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে এ খাতে কয়েক হাজার দক্ষ জনবল সৃষ্টির পাশাপাশি দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। পাঁচ বছরের মধ্যে এ খাত বিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হবে। তারা শিল্প খাতটির সুষম বিকাশে মোটরসাইকেল নিবন্ধন খরচ যৌক্তিক পরিমাণে নির্ধারণসহ নীতিমালার কয়েকটি দিক সংশোধনের বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে মোটরসাইকেল শিল্প বিকাশের ফলে জনগণের যাতায়াতে সুবিধার পাশাপাশি কর্মসংস্থান দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে শিক্ষিত বেকারদের জন্য এ শিল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ অবারিত করেছে। মোটরসাইকেল সংযোজনের পরিবর্তে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জনগণের জন্য সব ধরনের সেবা সহজলভ্য করতে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় অর্থনীতিতে মোটরসাইকেল শিল্প খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে সরকার ‘জাতীয় মোটরসাইকেল শিল্প উন্নয়ন নীতি-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ করে নতুন এ শিল্প বিকাশের পথে উদ্ভূত যেকোনো সমস্যার সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের নীতিসহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *