মোকাব্বির ব্ল্যাকমেইলার: গণফোরাম

গণফোরাম থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খানকে দলের পক্ষ থেকে শপথ নিতে বলা হয়নি। গণফোরামের প্যাড ব্যবহার করে তিনি ব্ল্যাকমেইল করেছেন। দলীয়ভাবে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত এখনও বহাল রয়েছে।

সোমবার তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর লতিফুল বারী হামিম।

তিনি বলেন, উনি দলকে ব্লাকমেইল করে গণফোরামের প্যাড ব্যবহার করেছেন। যদি উনি শপথ নেন তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

গণফোরামের প্যাড তিনি কোথায় পেলেন- এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে লতিফুল বারী হামিম বলেন, উনি কোথা থেকে প্যাড পেলেন এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই। হয়তো অফিসের ড্রয়ার থেকে নিতে পারেন। যদি তিনি প্যাড ব্যবহার করেন তাহলে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। দলীয় সিদ্ধান্ত হলে অবশ্যই এই প্যাডে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুর স্বাক্ষর থাকার কথা। কিন্তু ওই প্যাডে মন্টুর কোনো স্বাক্ষর নেই। এছাড়া স্পিকারের কাছে উনি যে চিঠি দিয়েছেন তাতেও মন্টুর স্বাক্ষর ছিল না।

জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়নি। আমাদের অবস্থান আগের অবস্থায় রয়েছে।

সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে নির্বাচিত মোকাব্বির দাবি করেছেন, দলীয় সিদ্ধান্তেই সংসদে যাচ্ছেন তিনি।

গণফোরামের প্যাডে পাঠানো ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি ও আমার দল গণফোরাম আগামী ২ এপ্রিল বা ৩ এপ্রিল শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তবে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলছেন, দলীয় ফোরামে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির জোট হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন গণফোরামের দুই নেতা সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করে জয়ী হওয়া সুলতান মনসুর গত ৭ মার্চ শপথ নিয়ে সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন।

ওই সময় মোকাব্বির খানও শপথ নেবেন বলে জানানো হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি সরে যান। এছাড়া দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেয়ায় সুলতান মসসুরকে গণফোরাম থেকে প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *