মূল্যায়ন চান ১৪ দলের শরিকরা

১৪ দলের শরিকরা মনোক্ষুণ্ন। ধীরে ধীরে মুখ খুলতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকরা। শরিক নেতারা বলছেন, তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ১৪ দলের শরিকদের পাত্তাই দেন না। এছাড়া শরিক নেতারা পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

তারা দাবি করেন, দল ছোট বা বড় বলে কোনো কথা নয়, সব বুঝে-শুনেই জোট করা হয়েছে। দল যত ছোটই হোক মূল্যায়ন করতে হবে। ১৪ দলের বিভিন্ন সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর এটাই প্রথম বৈঠক। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে ১৪ দলের নেতা সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, ডা. সাহাদাৎ হোসেন, অসীত বরণ রায়, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।

বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, দিলীপ বড়ুয়া তার বক্তব্যে বলেন, ১৪ দলে যে যত ছোট দলই হোক তাদের মূল্যায়ন করা উচিৎ। শরিকদের মূল্যায়ন না করে শুধু ব্যবহার করা হবে, তা ঠিক না।

এ বিষয়ে দিলীপ বড়ুয়াকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, চতুর্থ দফায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছি। মূল্যায়ন না হওয়ার কোনো কথা সেখানে বলা হয়নি।

১৪ দলের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বক্তব্যের এক পর্যায়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, বাংলাদেশ কি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, পুলিশি শাসন চলছে?

জানা গেছে, খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ফলে বৈঠকে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

জাসদ (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু তার বক্তব্যে বলেন, ১৪ দল যখন গঠিত হয়েছে তখন শর্তই ছিল আন্দোলন, সংগ্রাম, সরকার গঠন একসঙ্গে হবে। শরিকদের সঙ্গে নিয়েই চলবে সরকার। কিন্তু আজ ১৪ দলকে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করার কথা কেন বলা হচ্ছে?

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর গত ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। এর মধ্যদিয়ে ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। কিন্তু সে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি ১৪ দলের কোনো শরিক নেতার। তখন থেকেই মনোক্ষুণ্ন তারা। এমনকি ১৪ দলের সমন্বয়ক, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমও বঞ্চিত হন মন্ত্রিত্ব থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *